ফটোগ্রাফিতে ক্যামেরার ISO

ফটোগ্রাফিতে ক্যামেরার ISO 
সেনসিটিভিটি ফটোগ্রাফিক নেতিবাচক উপাদানের গতি প্রকাশ করে। যেহেতু ডিজিটাল ক্যামেরায় ফিল্ম ব্যাবহার করা হয় না কিন্তু এর পরিবর্তে ইমেজ সেন্সর ব্যাবহার করা হয় যা ISO এর সমতুল্য। ইমেজ সেন্সর আলো উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে কতটা সেনসিটিভ তা ISO এর মাধ্যমে বোঝা যায়। The higher the ISO যত বড় হবে ইমেজ সেন্সর ততটাই সেনসিটিভ হবে এবং তখন আপনি কম আলোতেও ছবি তুলতে পারবেন। ক্যামেরায় ফিল্ম রোল ব্যাবহার করলে আপনি যেমন তা পরিবর্তন করতে পারেন তেমনি ডিজিটাল ক্যামেরাতে সুবিধা মত ISO পরিবর্তন করার অপশন থাকে। এভাবে আপনি ক্যামেরায় ISO এর স্পিড পরিবর্তন করে মেমরিতে ইমেজ রেকর্ড করতে পারেন।
Apature-3.2বিভিন্ন ISO দিয়ে তোলা
ISO গতি ও এক্সপোজার
ISO এর গতি সঠিক এক্সপোজার পেতে শাটার স্পিড / অ্যাপার্চার সমন্বয়কে প্রভাবিত করে। ধরুন আপনার ডিজিটাল ক্যামেরা আপনাকে সতর্ক করছে যে ইমেজ ক্যাপচার করার জন্য যথেষ্ট পরিমান আলো নেই অর্থাৎ এক্সপোজার কম। এক্ষেত্রে আপনি অলাদা ফ্ল্যাশ ব্যাবহার করতে পারেন, কিন্তু ধরুন এটা করার কোন উপায় নেই। তখন আপনাকে বেশি মাত্রার ISO ব্যাবহার করতে হবে। তাছাড়া আপনি ম্যানুয়ালি বেশি মাত্রার সিলেক্ট করে নিতে পারেন এবং দেখুন এটা আপনাকে সঠিক এক্সপোজারের ছবি পেতে সাহায্য করে কিনা। একইভাবে আপনি যদি ধীর গতির শাটার স্পিড সম্পন্ন ক্যামেরা ব্যাবহার করেন (1/60 sec.) এবং অ্যাপাচারও খুলতে না পারেন, আর যদি আপনার কাছে কোন ট্রাইপড ও না থাকে যে কিনা আপনার ক্যামেরাকে স্থির রাখতে সাহায্য করবে, তবে আপনি উচ্চগতির ISO ব্যাবহার করুন যেটা আপনাকে দ্রুতগতির শাটার স্পিড পেতে সাহায্য করবে।
ISO গতি ও নয়েজ
Apature-3.3
সেনসিটিভিটি এমনি এমনি বৃদ্ধি পায় না, এর সাথে ইমেজে নয়েজ ও দেখা যায়। যখন আপনি বৃদ্ধির মাধ্যমে ইমেজ সেনসিটিভিটি বাড়ান, তখন ইমেজ সেন্সর একটি fainter আলোর সংকেত রেকর্ড করতে সক্ষম হয়। তবে এটাও সত্য যে fainter noise রেকর্ড করবে যেখানে নয়েজ আপনার সাবজেক্ট থেকে আলো সরানোর জন্য দায়ী থাকবে না। মনে রাখবেন যে, একটি ইমেজ সেন্সর এখনও এনালগ ডিভাইসের হয় এবং এটি তার নিজস্ব নয়েজ তৈরি করে। বাড়ানো সেনসিটিভিটি ইমেজ সেন্সরকে আরো হালকা সিগন্যাল এবং আরো নয়েজ রেকর্ড করতে সাহায্য করে।

একটি ইমেজ সেন্সর সাধারনত নিয়ন্ত্রিত থাকে যাতে করে এটা কম ISO তেও ভালো কোয়ালিটির একটি ইমেজ দিতে পারে। অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরার ভোক্তাদের জন্য, ISO-50, ISO-64 অথবা ISO 100 এই মানগুলো প্রকাশ করা হবে। কিছু ডিজিটাল ক্যামেরা তাদের সর্বনিম্ন ISO এর গতি ISO 200 ব্যবহার করে। উচ্চ গতিসম্পন্ন ISO এর ইমেজ সেন্সরে নয়েজ ধরা পরে। ইমেজ সেন্সর দ্বারা উত্পাদিত নয়েজ অবাঞ্ছিত এবং আপনার ইমেজে এটি বিক্ষেপী রঙ্গিন বিন্দু প্রদর্শিত করে। ISO এর গতি ও ইমেজ সেন্সরের সাইজ। ইমেজ সেন্সরের সাইজ ISO এর গতির উপর নির্ভর করে যা একটি ডিজিটাল ক্যামেরা নয়েজ ছাড়াই ব্যাবহার করতে পারে। এর একটি কারন হল বড় ইমেজ সেন্সরের উপর পিক্সেল বড় হতে পারে এবং বেশি আলো ধরে রাখতে পারে।
আমরা যদি প্রতিটি 4 মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনের সঙ্গে দুটি ইমেজ সেন্সর নেই, কিন্তু দুটো আলাদা সাইজের হলে ছোটটি উচ্চমাত্রার ISO তে বেশি নয়েজ প্রদর্শন করবে।
Apature-3.4
চার মিলিয়ন ছোট ছোট পিক্সেল মাত্র 1/1.8 ইঞ্চিতে ঠাসা ইমেজ সেন্সর ইমেজ কোয়ালিটির সাথে চার মিলিয়ন বড় বড় পিক্সেল নিয়ে কমপিট করতে পারে না
অনেক ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যাবহারকারীরা 1/1.8 ইঞ্চি ইমেজ সেন্সর ব্যাবহার করে এতে করে উচ্চমাত্রার ISO তে নয়েজ বেশি হয়। তাই এটা আপনাকে উচ্চমাত্রার ISO ব্যাবহার করতে দিবে কিন্তু ফলাফল হবে একটি নয়েজি ছবি।

Apature-3.5
অন্যদিকে একটি DSLR যা বড় ইমেজ সেন্সর ব্যাবহার করে সাধারনত ফুল ফ্রেম অথবা APS সাইজের হয়।
Apature-3.6
বিভিন্ন মাত্রার দিয়ে তোলা ছবি
উল্লেখ্য এখানে নয়েজ সত্যিই আইএসও 1600 এ একটি সমস্যা
কিছু প্রাকটিক্যাল বিবেচনা
• আপনি আপনার ডিজিটাল ক্যামেরায় সম্ভাব্য সর্বনিম্ন ISO ব্যবহার করে ভাল মানের ইয়ছবি পেতে পারেন। আপনি যদি সর্বনিম্ন ISO ব্যাবহার করতে চান তবে আপনার ক্যামেরা “Auto ISO” মুডে সেট করুনএবং সর্বনিম্ন ISO 50 ব্যাবহার করুন।
• যদি আপনি সচরাচর উজ্জ্বল আলোতে ছবি তুলে থাকেন যেমন দিনের বেলায়, তবে সর্বনিম্ন ISO ব্যাবহার করুন।
• আর আপনি যদি এমন কোন জায়গায় ছবি তোলেন যেখানে আলো পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যাচ্ছে না তবে আপনাকে আলাদা ফ্ল্যাশ লাইট ব্যাবহার করতে হবে অথবা সর্বোচ্চ ISO ব্যাবহার করতে হবে। আপনার ক্যামেরার সর্বোচ্চ এর উপর নির্ভর করবে কতটুকু নয়েজি ইমেজ হবে।
• একটি বড় ইমেজ সেন্সর মানে আপনি বড় ISO ব্যাবহার করতে পারবেন। এর এই যে আপনি দ্রুত শাটার স্পিড ব্যাবহার করে মানে অল্প আলোতেও ছবি তুলতে পারবেন।
আপনার কি একটি উচ্চমাত্রার ISO ব্যবহার করা উচিত?
যতদিন পর্যন্ত ভোক্তারা তাদেন ডিজিটাল ক্যামেরায় বড় ইমেজ সেন্সর গ্রহন না করতে পারছেন, উচ্চমাত্রার ISO তে নয়েজের সমস্যা থাকবেই। সাধারণভাবে “PROSUMERS” (পেশাদার ভোক্তাদের) নামে পরিচিত – - উন্নত অপেশাদার আলোকচিত্রী জন্য ডিজিটাল ক্যামেরার আরেকটি শ্রেণীবিভাগের একটি সামান্য বড় ইমেজ সেন্সর ব্যবহার করে ভোক্তা এবং পেশাদারী ডিজিটাল ক্যামেরার মধ্যেকার দূরত্ব কম করার প্রচেষ্টা চালান হচ্ছে (2 / ইঞ্চি 3 বা 8.8 এ x6.6mm) “মেগাপিক্সেল রেস” বলতে যা বোঝায় তা হল একটি ছোট জায়গায় অনেকগুলো পিক্সেল ঠাসা। যেখানে পাঁচ মিলিয়ন পিক্সেল একটি ২/৩ ইঞ্চি ইমেজ সেন্সরে থাকার কোথা সেখানে আট মিলিয়ন পিক্সেল আমরা দেখতে পাই। তাই নয়েজ ইমেজের একটা সমস্যা রয়েই যায়।

অল্প স্বল্প নয়েজ কোন সমস্যা না তবে এটা অনেক সময় আপনার ইমেজের সাইজের উপর নির্ভর করে। আপনার নয়েজ সারানর জন্য আলাদা সফটওয়্যার আছে যাতে আপনি ইমেজের নয়েজ পরিষ্কার করতে পারেন। যদি এমন হয় যে নয়েজ ছাড়া ছবি তোলা যাচ্ছে না তারপর আমি ছবি তুলবো এবং পরে এতাকে আমি নয়েজ রিডাকশন সফটওয়্যার দিয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এমনটি করার জন্য আপনাকে উচ্চমাত্রার ISO ব্যাবহার করতে হবে। শুরুর দিকের ক্যামেতগুলোতে অনেক সময় ISO সিলেক্ট করা থাকে, যেমন ISO 64 or ISO 100।
আপনার ভবিষ্যতের জন্য কোন DSLR আছে কি?
আপনি যদি অল্প আলোতে সত্যিই একটি নয়েজ মুক্ত কোন ছবি চান এবং এর জন্য উচ্চমাত্রার ISO ব্যাবহারের প্রয়োজন পরে তবে আপনাকে অবশ্যই উচ্চমাত্রা সম্পন্ন ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যাবহার করতে হবে। শু মনে রাখবেন এই ধরনের ক্যামেরা উচ্চস্তরের কাজে ব্যাবহার করে হয়।

এক নজরে:
• একটি ডিজিটাল ক্যামেরায় ISO এর গতি ইমেজ সেন্সরের সংবেদনশীলতার ইঙ্গিত দেয়।
• একটি ভালো মানের ইমেজ পেতে হলে ডিজিটাল ক্যামেরায় ISO সর্বনিম্ন সেট করতে হবে।
• শাটার স্পিড / অ্যাপারচার সমন্বয় করে আপনি যদি একটি সঠিক এক্সপোজড ছবি না পান তাহলে আপনি পরবর্তী উচ্চতর একটি ISO নির্বাচন করতে পারেন।
• তবে, মনে রাখবেন একটি উচ্চমাত্রার ISO ব্যবহার করলে আপনি নয়েজি ইমেজ পেতে পারেন।
• যদি আপনার ব্যাবহার করতেই হয় তবে নয়েজ সারানোর জন্য সফটওয়্যার ব্যাবহার করুন।
• আপনি যদি ক্যামেরা “Auto ISO” তে সেট করার পর নয়েজি ইমেজ পান, তবে হয়তো আপনি অল্প আলোতে ছবি তুলছেন যার কারনে ক্যামেরা ছবি তোলার সময় নিজে থেকেই উচ্চমাত্রার ISO ব্যাবহার করছে।
• আপনি যদি ছবি 4×6 ইঞ্চিতে প্রিন্ট করেন তবে দেখবেন ছবিতে নয়েজ আর থাকছে না। তাই নয়েজ নিয়ে এত চিন্তার কোন কারন নেই।
লেখাটির কিছু ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ

রং এর সংকেত

রং সবসময় তার নিদর্শন শক্তির জন্যই সুপরিচিত। বোঝার ক্ষমতা ও বিশ্লেষণ করাই রংকে সময়ের সাথে সাথে তাল মেলাতে এবং বিভিন্ন দেশ ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে পৌঁছাতেও সাহায্য করেছে। রং দিয়ে সুখ, ভালবাসা এমনকি কস্টকেও ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক শিল্পী। তাই কিছু ছবিতে রং এর ব্যবহার তুলে ধরার চেস্টা করা হল। আসা করি কাজে আসবে ।

লাল
পল গাউগুইন(১৮৪৮-১৯০৩) “ভিশন আফটার দি সারমন”১৮৮৮(অয়েল অন ক্যানভাস)
পল গাউগুইন(১৮৪৮-১৯০৩)
“ভিশন আফটার দি সারমন”১৮৮৮(অয়েল অন ক্যানভাস)











আগুন ও রক্তের সাথে সব সময় লাল এর সম্পর্ক। বিপদ, ক্রোধ এবং নিষ্ঠুরতা বোঝানোর জন্যও লাল রং ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও লাল রং হৃদয়, ভালবাসা এবং উত্তেজনাকে বোঝায়।
কমলা
মার্ক রথকো(১৯০৩-১৯৭০) “কমলা এবং হলুদ”১৯৫৬(অয়েল অন ক্যানভাস)
মার্ক রথকো(১৯০৩-১৯৭০)
“কমলা এবং হলুদ”১৯৫৬(অয়েল অন ক্যানভাস)













কমলা রং সৃজনশীলতা, বদল, শক্তি এবং ধৈর্যকে বোঝায়। কমলা রং শর‌‌‍‍ৎ‌‌কালকেও বোঝায়। অপ্রধান রং হওয়ার জন্য এটি রংয়ের মূল পদার্থগুলোকে একত্র করে। কমলা লাল রংয়ের শক্তি ও হলুদের উল্লাস হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটায়।
হলুদ
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ(১৮৫৩-১৮৯০) “সূর্যমূখী”১৮৮৯(অয়েল অন ক্যানভাস)
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ(১৮৫৩-১৮৯০)
“সূর্যমূখী”১৮৮৯(অয়েল অন ক্যানভাস)













হলুদ হচ্ছে সূর্যের রং, আমাদের গ্রহের অবলম্বন। এটি মূলত প্রাণ, শক্তি, আনন্দ, ভরসা, আশা এবং আত্মজ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ। এ রংটি বন্ধুত্বের ও প্রতীক।
সবুজ
পল সেজান্নে(১৮৩৯-১৯০৬) “দি ব্রাইড এট মাইনেসি”১৮৩৯((অয়েল অন ক্যানভাস)
পল সেজান্নে(১৮৩৯-১৯০৬)
“দি ব্রাইড এট মাইনেসি”১৮৩৯(অয়েল অন ক্যানভাস)











সবুজ হচ্ছে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী রং। সবুজ বলতে আমরা মূলত প্রকৃতি যেমন গাছপালা, পাতার রংকে বুঝে থাকি। মাঝে মাঝে এটি কিছু নেতিবাচক (হিংসা, অনভিজ্ঞতা) বৈশিষ্ট্যও তুলে ধরে।
নীল
জেম্’স ম্যাকনেইল রিস্টলার(১৮৩৪-১৯০৩) নকটার্ণ,ব্লু এন্ড সিলভার :চেলসি,১৮৭১ (অয়েল অন উড)
জেম্’স ম্যাকনেইল রিস্টলার(১৮৩৪-১৯০৩)
“নকটার্ণ,ব্লু এন্ড সিলভার :চেলসি,”১৮৭১ (অয়েল অন উড)











নীল হচ্ছে সবচেয়ে স্থির এবং উদাসীন রং। আকাশের রং হিসেবে এটি স্বর্গ প্রতিনিধি হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। শাস্ত্রীয় পুরাণে নীলকে দেবতার রং হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কালো
Black












কালো রং দ্বারা মূলত আমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন বুঝি। এটি মৃত্যু, মন্দ, জাদুবিদ্যা, ভয় এবং শোকের রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দুঃখ ও পীড়াদায়ক বিষয়ের জন্য কালো একটি যথাযথ রঙ।
সাদা
White
সাদা রং শান্তি, বিশুদ্ধতা এবং ধার্মিকতার প্রতিনিধিত্বতে ব্যবহৃত হয়।

পৃথিবীতে সবচাইতে শান্তিপূর্ণ সাতটি দেশ !!

পৃথিবীতে সবচাইতে শান্তিপূর্ণ  সাতটি দেশ !! 
সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় জ্যামের মধ্যে বসে থেকে কিংবা বাজারে জিনিসপত্রের দাম দেখে যে কেউ মন মেজাজ খারাপ করে বলবেন- এই দেশে একবিন্দু পরিমাণে শান্তি নেই! আর এই কথার সাথে অনেকেই একমত হবেন। আবার অনেকের কাছেই দিন যেমনই হোক না কেন, রাতে বিছানায় গা এলিয়ে শোয়ার পর বলবেন, ‘আহ! কি শান্তি’। তাহলে শান্তি জিনিসটি আসলে কী? কেন এবং কোন কোন কারনে আমরা শান্তিতে থাকি এবং কোন কোন কারনে আমরা অশান্তিতে থাকি?
এই সব শান্তি ও অশান্তির ধরণ নিয়ে কাজ করে ‘ইন্সটিটিউট অফ ইকোনোমিক পিস’। তারা সকল দিক বিবেচনা করে ও জরিপের মাধ্যমে নির্বাচন করেন বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশগুলো। তাদের জরিপে পাওয়া বিশ্বের সব চাইতে শান্তিপূর্ণ ৭ টি দেশ নিয়ে আমাদের আজকের ফিচার।

ডেনমার্ক

বিশ্বের সব চাইতে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে ডেনমার্ক। এই দেশের মানুষগুলোর মধ্যে শান্তির প্রথম ও প্রধান কারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন ‘ডেনমার্কের লোকজন কখনোই যুদ্ধ বিদ্রোহে যান না, তাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য নিজেদের অর্থনৈতিক দিক’। এছাড়াও ডেনমার্কের মানুষগুলো অনেক বেশি বন্ধুভাবাপন্ন ও সহযোগী মনোমানসিকতা সম্পন্ন

নরওয়ে

গ্লোবাল পিস ইনডেক্স অনুযায়ী নরওয়ে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। এই দেশে অপরাধীর সংখ্যা কম এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এই দেশে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম। থাকার জন্য বেশ নিরাপদ এই জায়গার মানুষজন অনেক বন্ধুভাবাপন্ন। যার কারনে এই দেশটি রয়েছে ২য় স্থানে।

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরের সিকিউরিটি সিস্টেম এবং জননিরাপত্তা সবার প্রথমে আসে। এই দেশ অন্যান্য যে কোনো দেশের তুলনায় প্রায় ৯০% নিরাপদ থাকার জন্য বলে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স হতে জানা যায়। এই দেশটি ইউনাইটেড নেশনের সাথে একযোগে কাজ করে, আর তাই অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই দেশটি উন্নত।

স্লোভানিয়া

অসাধারণ সুন্দর এই ইউরোপের দেশটি বিশ্বের সব চাইতে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই দেশটি রাজনৈতিক যে কোনো ধরনের ঝামেলামুক্ত। এই দেশে অনেক কম অপরাধ সংঘটিত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে বিধায় থাকার জন্য বেশ নিরাপদ এই দেশটি।

সুইডেন

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সুইডেন সব চাইতে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। এই দেশটি ইউরোপের সব চাইতে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই দেশটির রয়েছে অনেক কম অপরাধের রেকর্ড। এবং যুদ্ধ বিদ্রোহেও এই দেশটি বেশ পিছিয়ে রয়েছে।

আইসল্যান্ড

অসাধারণ ঐতিহ্যবাহী এই দেশটির রয়েছে সব চাইতে কম অপরাধীর রেকর্ড। এবং এই দেশটি পর্যটনের জন্য বেশ ভালো একটি স্থান বিধায় প্রচুর টুরিস্ট এই দেশে যান। তাদের জরিপে জানা যায় আইসল্যান্ডের অধিবাসী বেশ শান্তিপ্রিয় এবং সহযোগী মানসিকতা সম্পন্ন।

বেলজিয়াম

বেলজিয়াম অর্থনৈতিক ভাবে বেশ স্বাবলম্বী একটি দেশ। যখন পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে ২০০৮-২০১১ সালের মধ্যে, তখনও বেলজিয়ামের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর প্রভাব পড়েনি।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/04/12/64077.html#sthash.7m3GKlTf.dpuf

DSLR লেন্স সমূহের বিষয়ে আপনার গাইড

এনালগ ফটোগ্রাফির সুন্দরতম দিন
একক লেন্স রিফ্লেক্স, বা SLR, পেশাদার এবং Dedicated hobbyist দের জন্য পছন্দের টুল ছিল। ডিজিটাল প্রযুক্তি ডিজিটাল SLR তৈরি করেছে যা সাশ্রয়ী এবং একজন অপেশাদার ফটোগ্রাফারের পক্ষেও ব্যাবহার উপযোগী। অনেক ভোক্তা শ্রেণীর DSLR আছে যেমন নিকন D60। আমি প্রায় দুই বছর আগে এটি কিনেছিলাম ছবি তোলার জন্য যার সাথে ছিল একটি জুম এবং একটি কিট লেন্স। কিট লেন্স বহুমুখী কিন্তু অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন না, এটা মূলত কারো দোষ নয়। আমি নিকনের অনেক রকমের লেন্স কিনি এবং ফটোস্যুট করতে বেড়িয়ে পড়ি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি যে কিভাবে একটি লেন্স তার বহুমুখিতার মাধ্যমে ছবিকে আর সুন্দর করে তুলে।
ফোকাল দৈর্ঘ্য
ব্যারেল লেন্সের দিকে একটু লক্ষ্য করুন এবং আপনি 18-55 মিনি বা এই ধরনের একটি পরিমাপ বা পরিসীমা দেখতে পাবেন। ওইটা আপনার লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য যা আপনার লেন্স এবং সেন্সরের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে। ভিন্ন ধরনের সেন্সরের মাপ একে একটু বাকাতে পারে, সাধারণভাবে লম্বা ফোকাল লেন্থ telescope এর মত কাজ করে, ছোট ফোকাল লেন্থ সম্পূর্ণ কন বিশিষ্ট ফোটোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করা হয়।
F-স্টপ
প্রতিটি লেন্সের ব্যারেলে ছাপানেো হওয়া রেটিং হোল F-স্টপ। F-স্টপ লেন্সের অ্যাপারচারের ব্যাস নির্দেশ করে, যা লেন্সে কতোটুকু পরিমান আলো প্রবেশ করবে তা নির্ধারণ করে। F-স্টপকে প্রথমে কম নম্বরের counter intuitive বলে মনে হয়, লেন্স এর অ্যাপারচার সরাসরি পরিমাপ হয় না কিন্তু লেন্স এর অ্যাপারচার বোঝাতে ফোকাল লেন্থ দ্বারা বুঝানো হয়। এছাড়া, লেন্সের গায়ে ছাপানো হয় সর্বনিম্ন সম্ভব F-স্টপ, বা widest অ্যাপারচার। জুম লেন্স উপর, সর্বোচ্চ অ্যাপারচার f/3.5-5.6- হিসাবে একটি পরিসীমা পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ আপনি যদি জুম হিসাবে, সর্বোচ্চ F- স্টপ ব্যবহরা করেন তবে, ফোকাস দৈর্ঘ্য পরিবর্তন হবে। এর আসল রেঞ্জ হচ্ছে f/22 থেকে f/1.4 পর্যন্ত, যার সেটিং f/11, f/5.6 এবং f/2.8 এর মধ্যে। প্রতিটি ক্রমবর্ধমান স্টপ অ্যাপারচার এর আয়তনের দ্বিগুণ।
Zooms
প্রায় সব DSLR এর সাথেই জুম এবং কিট লেন্স থাকে। যেটা কিনা খুবই বহুমুখী একটি সংমিশ্রণ। আমার D60 18–55 mm এর লেন্স ছিল। 18 mm ছিল এটার ছোট ফোকাল দৈর্ঘ্য। জুম লেন্স অন্যান্য লেন্সের তুলনায় একটু আলাদা হয়। এর কনফিগারেশনের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের variety থাকে। Wide-angle জুম 10 mm থেকে 24 mm ফোকাল লেন্থ পর্যন্ত কভার করতে পারে। টেলিফটো জুম লেন্স 55 mm থেকে 200 mm পর্যন্ত কভার করতে পারে।
Prime Lenses
প্রাইম লেন্সের ফিক্স ফোকাল দৈর্ঘ্য আছে এবং ফোটোগ্রাফিকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়। প্রাইম লেন্সের রেঞ্জ 10.5 mm থেকে 600 mm এর মধ্যে হয়। এই তুলনা বিবেচনা করুন: এর সর্বাধিক ফোকাস দৈর্ঘ্য এ, নিকন এর 18-55-মিমি কিট লেন্স f/5.6 এ রেট করা হয়. একটি Nikkon 50 মিমি প্রাইম লেন্স ($ 485), অন্য দিকে, ছোট এবং বড় কাচের ব্যবহার করে, তাই এটা f/1.4 এ রেট করা হয়। নিম্ন F-রেটিং মানে হল ফিল্ডের গভীরতার উপর অধিক আলো এবং জোরালো নিয়ন্ত্রন।
Wide-Angle এবং Telephoto
কম ফোকাল লেন্থ, কিংবা প্রশস্ত ফিল্ড লেন্থ— যেকোন কিছুই 35 mm নিচে হলে তা anything under 35 wide-angle হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের লেন্সে ঘরের ভেতরে ছবি তোলার জন্য উৎকৃষ্ট, যেখানে আলোটা বাধাগ্রস্থ হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু super-wide-angle লেন্স ফটো প্রান্ত দিকে বিকৃতি সৃষ্টি করতে পারে। কিছু extreme wide-angle লেন্স হল ফিশআই লেন্স, যা বিক্রিত হয় না। বরং তারা এর সুবিধা গ্রহন করে। এর প্রভাব হতে পারে বেশ নাটকীয়, এমনকি একটু trippy। কোন বড় স্টেডিয়ামে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফিসআই লেন্স ভালো। অন্যদিকে টেলিফটো লেন্স এর নামের মতই অনেকটা টেলিস্কোপের মতো কাজ করে। আপনি যখন একটি দূরবর্তী বস্তু magnify করবেন, আপনি নিজেও ক্যামেরার movement করাবেন, তাই এখানে ইমেজ stabilizer অথবা ট্রাইপোড ব্যাবহার করাটা জরুরী।
ম্যাক্রো
টেলিফটো লেন্স যদি হয় টেলিস্কোপের মতো, তবে ম্যাক্রো লেন্স হবে মাইক্রোস্কোপের মতো যা কিনা ব্যাবহার করা হয় ফুল, কীটপতঙ্গ কিংবা অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণীর বা জিনিসের খুব কাছ থেকে ছবি তোলার জন্য। ম্যাক্রো লেন্সের ম্যাগ্নিফিকেশন পাওয়ার যত বেশি এর ছবি তোলার কোয়ালিটি ততই ভালো হবে। লেন্স একটি ব্যয়বহুল অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। অফ ব্র্যান্ড মডেল আপনার টাকা বাঁচাতে পারে, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে আপনি যাই কিনবেন ভবিষ্যতে তা আপনাকে ফলাফল প্রদান করবে।

গুগলে চাকরি !!

টেক জায়ান্ট গুগল সম্প্রতি যেসব মানুষ তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করছে, তাদের মধ্যে অনেকের কলেজেরই ভালো ডিগ্রি নেই। কিন্তু তাদের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা ও গুণাগুন। কয়েকটি ধাপে দীর্ঘ সময় নিয়ে এসব প্রার্থীদের বাছাই করে গুগল।
গুগলের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়, তা গুগলের পিপল অপারেশন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ল্যাজলো ব্লকের এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জেনেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক অ্যাডাম ব্রায়ান্ট। এ বিষয় নিয়ে ফোর্বস-এর ব্লগে এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
১. শেখার ক্ষমতা
কোনোকিছু শেখার দক্ষতা গুগলে নিয়োগ পেতে হলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরিষ্কারভাবে শেখার ক্ষমতা, নতুন বিষয় তুলে নেওয়ার দক্ষতা, দ্রুত শিখে নেওয়া, বিচ্ছিন্ন নানা বিষয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা ও পরবর্তী ধাপে তা নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান দ্রুত পরিবর্তনশীল যুগে শেখার দক্ষতা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বিষয় দ্রুত যারা শিখতে পারে তারা এখন সাফল্য লাভ করে। গুগল, লিংকডইন ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধারণা প্রচলন করে গর্ববোধ করে। এ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই চায় অনুসন্ধিৎসু তরুণদের। যারা ভুল করবে এবং সে ভুল থেকে শিক্ষা নেবে, যারা কোনোকিছু না বুঝলে প্রশ্ন করতে দ্বীধা করবে না এবং এসবের মাধ্যমে নতুন বিষয় শিখে সামনে এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ডাচ বিজনেস এক্সিকিউটিভ ও বিজনেস থিওরিস্ট আরি ডে জেউস বলেন, ‘আপনার প্রতিযোগীদের তুলনায় দ্রুত শিখে নেওয়ার ক্ষমতা হতে পারে প্রতিযোগিতায় একমাত্র টেকসই সুবিধা।’
এ বিষয়টি মেনে নিতে হবে এবং সবসময় শেখার চেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিয়োগের সময় প্রার্থীর এ যোগ্যতাটি আছে কি না, তা দেখে নেয়।
২. নেতৃত্বের যোগ্যতা
গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে নেতৃত্বের যোগ্যতাসম্পন্নদের আলাদা করার চেষ্টা করে। তারা চেষ্টা করে এমন প্রার্থী বের করার, যে অন্যদের গাইড ও অনুপ্রেরণাদাতা হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার জব টাইটেল বিবেচনা করা হয় না। আর অন্য কেউ নেতৃত্ব নিলে তাকে সে কাজ করতে সহায়তা করাও যোগ্যতার একটি অংশ।
৩. বিনয় ও ভদ্রতা
একই সময়ে আগ্রহ ও দায়িত্বের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে বিনয়। আপনার কাছে আসা আনকোরা কোনো কর্মী আপনার চেয়েও ভালো কোনো আইডিয়া দিতে পারেন। এ ছাড়াও তিনি আপনার চেয়ে কোনো বিষয়ে ভালো জানতে পারেন। ফলে এ বিষয়ে ইগোর ভূমিকা একটু ভিন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে থাকতে হবে বড় ও ছোট ইগো। কারো এ গুণ থাকলে তা দ্রুত নিয়োগকারীর নজরে পড়ে।
৪. দায়ীত্ববোধ
গুগল চায় এমন মানুষ নিয়োগ করতে, যার দায়ীত্ববোধ রয়েছে। কোনো সমস্যা সমাধান করতে দায়িত্ব নিয়ে যে সামনে এগিয়ে যায় এবং নতুন বিষয় তৈরি করতে যে আগ্রহবোধ করে। কোনো কর্মীর যদি কাজের প্রতি আগ্রহ না থাকে তাহলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। কোনো প্রতিষ্ঠানে কীভাবে ভালো কাজ করা যায় সে বিষয়ে ক্রমাগত উৎসাহের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া কর্মী চায় প্রতিষ্ঠানগুলো।
৫. দক্ষতা
নির্দিষ্ট কোনো টেকনিক্যাল কাজের জন্য নিয়োগ করা না হলে প্রার্থীদের প্রোগ্রামিং বা কোডিং করার দক্ষতা রয়েছে কি না, এ বিষয়টি গুগল নিশ্চিত করে নেয়। এটি তাদের তালিকার পাঁচ নম্বর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর দক্ষতা বলতে সবসময় উন্নত কাজ করার চেষ্টাও বুঝায় তারা। মানুষ যখন কোনো বিষয়ে নিজেকে ‘দক্ষ’ বা ‘অনেক অভিজ্ঞ’ বলে দাবি করে তখন তারা নতুন বিষয় শিখতে চায় না। বিশেষ করে প্রশ্ন করা হলেও তারা তাদের নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গীতে সবসময় আবদ্ধ থাকে এবং সেজন্য সবসময় শক্ত যুক্তি দাঁড় করায়। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মানুষের চেয়ে সবসময় ভালো কোনো সমাধানের খোঁজে থাকা কর্মীদেরই সন্ধান করে।

কোন DSLR ক্যামেরাটি হবে আপনার নিত্য দিনের সঙ্গী ?

কোন DSLR ক্যামেরাটি হবে আপনার নিত্য দিনের সঙ্গী ? 
আজকাল DSLR ক্যামেরা অনেক বেশী সহজলভ্য হয়ে গেছে। ইদানীং সবার মধ্যে ফটোগ্রাফির শখটাও অনেক বেশী। কেউ আবার নিয়মিত ফটোগ্রাফি না করলেও শখের বসে একটা ভাল ক্যামেরা রাখতে চায়। বাংলাদেশেও নামী-দামী সব ব্য্রান্ডের DSLR পাওয়া যায় আজকাল। ফেসবুকের নিউজফিড চেক করলেই বোঝা যায় আমাদের দেশে উঠতি ফটোগ্রাফারের সংখ্যা নেহায়েত কম না আর তাছাড়া ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এখন অনেক বেশী লাভজনক। নিয়মিত এক্সিবিশন আর প্রতিযোগিতাও হচ্ছে আজকাল। এই রিভিউটি মুলত উঠতি ফটোগ্রাফারদের জন্য যারা নতুন শুরু করতে চান তবে কোন ক্যামেরা টি আপনার জন্যে ভালো হবে তা নিয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারসেন না তাদের জন্যে।
প্রফেশনাল ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে মুলত কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় যেমন কত মেগাপিক্সেল,কামেরার দাম  ,কেনার সময় কোন লেন্সটি সাথে আছে এবং অন্যান্য লেন্সের দামগুলো কেমন হতে পারে, ইমেজ সেন্সর কত বড়, ISO রেঞ্জ কিরকম, স্পিড কেমন, ইউজার ইন্টারফেস এবং পেছনের LCD ডিসপ্লেটি কেমন, মেমরী কার্ড এর কোনটি লাগানো যায়, হালকা না ভারী, ব্যাটারীর লাইফ, শাটার স্পিড, কম আলোতে ছবি কেমন উঠে, ভিডিও করা যায় কিনা ইত্যাদি। নীচের ক্যামেরাগুলো মুলত এই সব ফিচারগুলো নিয়েই তৈরী করা হয়েছে আর বাংলাদেশের মার্কেটে বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সহজলভ্য।
Canon 600D
Canon 600D
প্রায় ৫০,০০০ টাকা মুল্যের এই ক্যামেরাটি বের হবার পর থেকে বলা যায় Nikon এর অনেক নামী-দামী মডেলগুলোর বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে এই ক্যামেরা। দামে সস্তা হবার কারনে এই ক্যামেরাটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে  ফটোগ্রাফারদের কাছে। এটি Canon 550D এর আপগ্রেড। আর এই ক্যামেরার ভিডিও কোয়ালিটিও যথেষ্ট ভাল।  আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন!
Canon 1100D / EOS Rebel T3:
Canon 1100D / EOS Rebel T3:
এই DSLR ক্যামেরাটি সম্ভবত এই মুহুর্তে সবচেয়ে সস্তা মার্কেটে কিন্তু কাজের দিক দিয়ে ক্যামেরাটির ফিচার অনেক ভাল। Wide 9 Point Auto Focus সিস্টেম, ISO Range 100 – 6400 আর HD ভিডিও ফিচার ক্যামেরাটিকে এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে। মুল্যঃ ৩৫,০০০ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে। কিট লেন্স সাথে থাকলেও একটা ৮,০০০ টাকা মুল্যের 50mm ১.৮ প্রাইম লেন্স কেনা যায়। প্রাইম লেন্স পোর্ট্রেট  ফটোগ্রাফির জন্য সেরা । তাছাড়া আপনার যদি  বাজেট থাকে, তাহলে আপনি কয়েক্ধরনের লেন্স কিনতে পারেন।

Nikon D3200
Nikon D3200
নিকন D3100/ D3200 :৩৫,০০০-৪৫০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় এই ক্যামেরা দুটি  আর ফিচার যথেষ্ট ভাল।এর মধ্যে Nikon D3200 ক্যামেরা টি  ২৪.২ মেগা পিস্কেলের। এই ক্যামেরাটি নিজে থেকেই ইমেজ ক্রপ করে ফেলে ছবির কম্পোজিশন আরও ভাল করার জন্য। এই ক্যামেরায় আছে Guide Mode যার কাজ হলো যে লোক জীবনে প্রফেশনাল ক্যামেরা ব্যবহার করেনি, তাকেও দেখিয়ে দিবে কিভাবে কি করতে হয়। অন্য ভাষায় বলা যায় – Easy Mode।

Canon EOS 100D
Canon EOS 100D
এটিও নতুন একটি মডেল। ১৮ মেগাপিক্সেল আর HD Video সুবিধা রয়েছে। একই রেঞ্জের অন্যান্য ক্যামেরার মত এই ক্যামেরাতেও সব ধরনের ফিচার আছে কিন্তু আকারে এই ক্যামেরাটি অনেক বেশী হালকা আর কম্প্যাক্ট। ৩ ইঞ্চির একটি LCD ডিসপ্লে আছে এই ক্যামেরায় আর আছে Canon এর বিখ্যাত Digic 5 ইমেজ প্রসেসর। Canon এর যে কোন EF বা EF-S লেন্স ব্যবহার করা যাবে এই ক্যামেরার সাথে। ISO রেঞ্জ ১০০-১২৮০০ এবং Expanded mode এ ISO ২৫৬০০ পর্যন্ত হতে পারে। আছে ড্রাইভ মোড এবং আরও অনেক নতুন নতুন ফিচার। এই ক্যামেরাটি ৫০,০০০ থেকে ৫৫,০০০ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া যাবে।
Sony Alpha a37
Sony Alpha a37
১৬.১ মেগা পিক্সেলের এই ক্যামেরাটিতে আছে 15 Point Auto Focus আর অন্যান্য DSLR এ যা থাকে তার সবকিছু। সনির ইউজার ইন্টারফেস অনেক ভাল বিশেষ করে যারা নতুন করে ফটোগ্রাফি শিখতে চান। কিন্তু আমাদের দেশে সনির ক্যামেরাগুলো খুব একটা সহজলভ্য না বিশেষ করে, ক্যামেরার বডি পাওয়া গেলেও লেন্স পাওয়া অনেক বেশী দুস্কর। তাই প্রায় সময় কিট লেন্স হিসেবে যেটা পাওয়া যায় তাই হয়  একমাত্র ভরসা। মুল্য ৪০,০০০ – ৪৭,০০০ টাকার মধ্যে।

৩০ সেকেন্ডেই ফুল চার্জ হবে আপনার সেল ফোন !!

৩০ সেকেন্ডে মোবাইল চার্জ!
আপনার স্মার্টফোনটির ব্যাটারি চার্জ বড়জোর দুই দিন থাকে। চার্জে দিয়ে কাজ করা যেমন নিরাপদ নয় আবার চার্জে রেখে এক/দুই ঘণ্টা অপেক্ষার করার ধৈর্যও থাকে না। কিন্তু এমন যদি হয়- কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার ফোনটি ফুল চার্জ হয়ে যায়! 
এটা আর এখন স্বপ্ন নয়। এমন প্রযুক্তি হাতের মুঠোয় নিয়ে আসছে ইসরায়েলি একটি প্রতিষ্ঠান। স্টোরডট নামে এ কোম্পানির দাবি, তাদের উদ্ভাবিত ব্যাটারি মাত্র ৩০ সেকেন্ডে পূর্ণ চার্জ হবে।
 
তারা ন্যানোডট নামে একটি জৈব রাসায়নিক মিশ্রণ তৈরি করেছে। এর আকার যেমন হবে ছোট তেমনি এর তড়িৎবাহক (ইলেকট্রোড) ও তড়িৎ উৎপাদন (ইলেকট্রোলাইট) ক্ষমতা হবে অবিশ্বাস্য। এর ফলে ব্যাটারি রিচার্জ করতে আর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা নয়, মাত্র কয়েক সেকেন্ডই যথেষ্ট।
 
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ডোরন মায়ের্সডর্ফ জানান, তারা নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রোড তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ নতুন পদার্থ দিয়ে। একে তারা মাল্টিফাংশন ইলেকট্রোড বলছেন।
 
ব্যাটারি তৈরির প্রচলিত পদ্ধতিতে অনেক ভারি ধাতব পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত বিষাক্ত। কিন্তু ন্যানোডটে জৈব রসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে যা পরিবেশবান্ধব।
 
 মায়ের্সডর্ফ বলেন, এটা একদিকে সুপার ক্যাপাসিটর যা দ্রুততার সঙ্গে রিচার্জ হয় আর লিথিয়াম ইলেকট্রোডের মতো ধীরে ডিসচার্জ হয়। 

এ উদ্ভাবনের ফলে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গঠন ও প্রকৌশল বদলে দিতে পারে। এমনকি দ্রুত গতিসম্পন্ন ইলেকট্রিক গাড়ির প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মানসম্মত লিংক বিল্ডিং কি এখনো গুরুত্ত্ব বহন করে এসইও তে ? এসইও তে লিংক বিল্ডিং এর যুগ কি আসলেই শেষ??

এসইও তে লিংক বিল্ডিং এর যুগ কি আসলেই শেষ?? 
গুগলের লেটেস্ট আপডেটগুলো এসইওতে যে অনেক বড় ধরণের প্রভাব ফেলেছে সেটি আর নতুন করে বলার দরকার নাই। এই আপডেটগুলোর পরে অনেকে যারা নিজেদের সাইটকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজের কোথাও খুজে পান নাই বা এখনো পাচ্ছেন না কিংবা যারা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এসইও লিংক বিল্ডিং এর কাজ নিয়ে টেনশনে আছেন তারা অনেকেই এখন হয়ত  চিন্তা করতেছেন এসইও করে আর ভাত নাই, এসইও এর দিন শেষ। কিন্তু অন্যদিকে যাদের এই আপডেটগুলো সম্পর্কে সঠিক আইডিয়া আছে এবং যারা গুগলের সঠিক গাইডলাইন মেনে এসইও করেছেন এবং এখনো করছেন তারা ভাল করেই জানেন এসইও কোনোভাবেই শেষ হয়ে যায়নি বরং আগের চাইতে অনেক বেশি স্মার্ট একটি প্রফেশান। এখন আগের চাইতে অনেক অল্প পরিশ্রমে অনেক ভাল কাজ করা যায়, কিছুটা মাথা খাটানোর ব্যাপার আছে এই!!

এসইও এবং লিংক বিল্ডিং



links1
এসইও নিয়ে অন্তত যাদের টুকটাক কিছু অভিজ্ঞতা আছে তারা ভাল বলতে পারবেন এই কিছুদিন আগেও প্রায় অনেকেই মনে করত যে এসইও মানে হচ্ছে লিংক বিল্ডিং আর লিংক বিল্ডিং মানেই হচ্ছে এসইও। তখন শুধুমাত্র গুগলকে টার্গেট করে একটা ওয়েবসাইটের জন্য হাজার হাজার ব্যাকলিংক তৈরি করা হত। যে সাইটে বেশি পরিমাণ লিংক থাকত সেই সাইটগুলোই গুগলের সার্চের টপে থাকার সম্ভাবনা থাকত এবং শুধু সম্ভাবনা না এটা হতোই। কাজেই এরকমটি মনে করার যথেষ্ট কারণও ছিল, যে কারণে সবাই শুধু ব্যাকলিংক আর ব্যাকলিংক বুঝত। মনে করত বেশি বেশি ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারলেই কাজ শেষ, আর কি লাগে! যার ভয়ানক ফলাফল পাওয়া গেল কিন্তু যখন গুগল একটার পর একটা নতুন নতুন আপডেট যোগ করা শুরু করল এবং এই আপডেটগুলোর কারণে যখন অনেকে কড়া পেনাল্টি খেয়ে বসল। তখন সবার একটু টনক নড়ে গেল যে এটা কি হল, গুগল এটা কি করল?
গুগল খারাপ কিছুই করেনি, বরং আমাকে আপনাকে আরেকটু আপডেট করার চেষ্টা করল এই। আমাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করল যে শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিংই এসইও নয়, ন্যাচারাল এবং মানসম্মত ওয়েতে লিংক বিল্ডিং করার পাশাপাশি আরো অনেক ভাল স্ট্র্যাটেজি ফলো করতে হবে যে কারণে শুধুমাত্র গুগলের কাছে নয়, আপনার টার্গেটেড ভিজিটরদের কাছেও আপনার সাইটটিকে ভালভাবে ফোকাস করতে পারবেন এবং তাদের কাছে আপনার সাইটের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারবেন।

তাহলে কি লিংক বিল্ডিং এর গুরুত্ত্ব এখনো আছে??   


link-building-lesson
একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই- আমি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী যেটাকে অন্যভাবে বললে বলা যায় কর্মবাদ ধর্ম। ধর্মজ্ঞান কম থাকলেও যতদূর জানি গৌতম বুদ্ধ ছিলেন অন্যতম বড় একজন দার্শনিক মাপের মানুষ। একটা কথা সবসময় বলতেন যে শুধুমাত্র আমাকে পূজা করে বা বিপদের সময় আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের লাভের লাভ কিছুই হবেনা। আমাকে পূজা করে সময় নষ্ট না করে আমার দেখানো পথটা অনুসরণ করার চেষ্টা করো, সফলতা পাবে। কথাটা কিন্তু মানতে পারেন আর না পারেন আমার কাছে মনে হয় ১০০ ভাগ সত্যি এবং এফেক্টিভ যেটা অনেকটা গুগলের ক্ষেত্রেও বলা যায়।
গুগল কি বলেছিল কখনো যে আমার জন্য এসইও কর বা আমাকে খুশি করার জন্য এসইও কর? হয়ত বলে নাই কিন্তু আমরা সবাই এক ধরণের ঘোরের মধ্যে ছিলাম, যে কারণে গুগল ছাড়া কিছুই বুঝতাম না বা গুগলের চিন্তা কখনোই মাথা থেকে ঝাড়তে পারতাম না। আর সে কারণেই শুধুমাত্র গুগলকে টার্গেট করে সাইটের জন্য হাজার হাজার ব্যাকলিংক করে গেছি। আমাদের সাইটকে গুগল সার্চ রেজাল্ট পেইজের টপে দেখার জন্য কত ধরণের পদ্ধতিতে যে লিংক বিল্ডিং করেছি তার কোনো ঠিক নাই, যেখানেই একটু চান্স পাইছি আগ-পিছ চিন্তা না করেই লিংক বসিয়ে দিছি। যে কারণে আমরা পেনাল্টি খেয়েছি মূলত গুগলের কাছেই, গুগলের আপডেটগুলোর কাছে নয়।
এবার আসি আমার মূল প্রসঙ্গ লিংক বিল্ডিং নিয়ে। গুগল একটার পর একটা আপডেট যোগ করার পরপরই যখন অনেক ওয়েবসাইটের হাজার হাজার লিংক অকেজো হয়ে গেলো এবং অনেক ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে খুজেই পাওয়া গেলনা তখন অনেকেই বলল যে লিংক বিল্ডিং এর দিন শেষ, এসইও এর জন্যে আর লিংক বিল্ডিং এর দরকার নাই, লিংক বিল্ডিং করে আর এসইও করা যাবে না হেন-তেন অনেক কিছু।
কিন্তু না, এসইওতে লিংক বিল্ডিং শেষ হয়ে যায়নি। এটি এখনো সাইটকে গুগলের টপে নিতে অনেক শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে এবং আপনার সাইটের জন্যে কোয়ালিটি সম্পন্ন বা ন্যাচারাল লিংক বিল্ডিং এর প্রয়োজন এখনো আছে। তবে হ্যাঁ, আগের মত একচেটিয়া বাজেভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করা বা তথাকথিত সেই লিংক বিল্ডিং এর দিন আর নেই, এটি এখন মৃত।

কিভাবে করব লিংক বিল্ডিং



seo-link-building
গুগলের যত আপডেট সেগুলোর মূল টার্গেটই হচ্ছে লিংক বিল্ডিং স্ট্র্যাটেজি এবং আগের সেই তথাকথিত বাজে লিংক বিল্ডিং এর কারণেই মূলত অনেক সাইট গুগলের পেনাল্টি খেয়ে বসে আছে। তাই “হাউ ডু আই বিল্ড লিংক” এভাবে চিন্তা না করে “হোয়াট ইজ আ গুড লিংক” এভাবে চিন্তা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই আপনি ভাল মানের লিংক এর  গুরুত্ত্ব বুঝতে পারবেন এবং সেভাবে লিংক বিল্ডিং করতে পারবেন।

এবার সহজভাবে দেখে নিই কেমন হওয়া উচিত ভাল মানের লিংক এর বৈশিষ্ট্য

  • যে সাইটের সাথে আপনার সাইটের লিংক বিল্ডিং করছেন সেটা অবশ্যই রিলেটেড হতে হবে। অর্থাৎ আপনার সাইটটি যদি হয় গ্রাফিক্স রিলেটেড আর আপনি যদি রেস্টুরেন্ট রিলেটেড সাইটের সাথে লিংক বিল্ডিং করেন তাহলে সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
  • লিংকটি ভিজিটরদের কাছে গুরুত্ত্বপূর্ণ হতে হবে। আপনি যে লিংকটি দিয়ে আসলেন সেখানে গিয়ে ভিজিটররা যদি তাদের প্রয়োজনীয় ভাল  কিছু না পাই তাহলে সেই লিংকটির গুগলের কাছে বা ভিজিটরদের কাছে কতটা গুরুত্ত্ব থাকে??
  • আপনার লিংকটি ভিজিটরদের জন্যে অবশ্যই ক্লিকেবল হতে হবে এবং লিংকটি এমন হতে হবে যাতে ভিজিটররা সহজে বুঝতে পারে যে এটা তাদের জন্য এবং এখান থেকে তারা ভাল কিছু পাবে।
  • ব্লগ কমেন্টিং বা ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে অনেক এফেক্টিভ লিংক পাওয়া যায়। তাই বলে আন্দাজে ব্লগে বা ফোরামগুলোতে কমেন্ট করতে যাবেন না। ধরুন কোনো ব্লগে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে ভাল একটা পোস্ট দেয়া হয়েছে এবং সেখানে অনেক পাঠক কমেন্ট করতেছে। এখন আপনি যদি অনেক কমেন্ট দেখে সেখান থেকে ভিজিটর পাওয়ার আশায় এসইও টিপস সম্পর্কে কমেন্ট করে লিংক বসিয়ে দিয়ে আসেন সেটা অবশ্যই স্পামিং হয়ে যাবে। কারণ তারা সেখানে ওয়েব নিয়ে আলোচনা করতেছে এসইও নিয়ে নয়।  তাই আপনার কমেন্টগুলো হতে হবে মোস্ট রিলেটেড।
  • আপনার সাইটের মধ্যে যখন ইন্টারন্যাল লিংক দিবেন তখন খেয়াল রাখবেন যাতে লিংক এর সাথে আপনার কনটেন্টগুলোর সামঞ্জস্য থাকে।
  • বর্তমানে লিংক বিল্ডিং করার সবচেয়ে এফেক্টিভ পদ্ধতি হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং। যথেষ্ট পরিমাণ পাঠক আছে বা ভাল ভিজিটর পাওয়া যাবে এরকম গেস্ট ব্লগিং সাইটগুলোতে রেগুলার পোস্ট করতে হবে এবং সেখানে আপনি চাইলে সাইটের লিংক দিতে পারবেন। আগে হয়ত শুধুমাত্র র‍্যাংকিং বাড়ানোর জন্যে ফেইক লিংক বা ফেইক ব্লগের সাথে লিংকিং করা যেতো কিন্তু এখন সেভাবে করা যায় না। গেস্ট ব্লগিং এর জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ ভিজিটর বা পাঠকদের অ্যাক্টিভিটি  সম্পন্ন ব্লগসাইটগুলোকে অনেক বেশি গুরুত্ত্ব দেয়া হয়।  মোটকথা লিংক বিল্ডিং হতে হবে ভিজিটরদের জন্যে “নট ফর গুগল”। লেখার শুরুতেও বলেছি এখনো বলছি গুগলের চিন্তা আপাতত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে না পারলে বিপদ আছে। সারাক্ষণ যদি গুগল নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন, কিভাবে গুগলের টপে যাওয়া যায়, কিভাবে গুগল সার্চ রেজাল্টের ফার্স্ট পেইজে থাকা যায় তাহলে ভিজিটরদের নিয়ে চিন্তা করার সময় পাবেন না। আর ভিজিটরদের জন্যে পারফেক্ট এসইও করতে না পারলে গুগলের টপে যাওয়ার চিন্তা না করাটাই বেটার।

গুগল কি বলে?

go
গুগল কি বলে বা গুগল কি চাই সেটা নিয়ে চিন্তা না করে আগে ভাবুন গুগল কেন আছে এবং গুগলের মেইন উদ্দেশ্য কি? ভিজিটররা যাতে তাদের টার্গেটড কী-ওয়ার্ডগুলো ব্যাবহার করে  গুগলে সার্চ দিয়ে সবচেয়ে ভাল ওয়েবসাইটটি খুজে পায় সেটাই কি গুগলের মেইন উদ্দেশ্য নয়? গুগল সবসময় চাই ভিজিটরদের জন্যে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোকে আগে রাখতে যাতে সার্চ দেয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের দরকারী সাইটগুলো পেয়ে যায়। অর্থাৎ ভিজিটরদের চাহিদা পূরণ করতে পারাই হচ্ছে গুগলের মেইন টার্গেট।

এবার আসুন সর্টকাটে দেখি একটা ওয়েবসাইটের জন্যে এসইও করতে হলে গুগল কি ধরণের গাইডলাইন ফলো করতে বলে

১. ওয়েবসাইটের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট বা আর্টিকেল ব্যাবহার করার কোনো প্রয়োজন নাই। অর্থাৎ আপনার সাইটের মোস্ট রিলেটেড কনটেন্ট ব্যাবহার না করে যদি আপনি অন্যান্য বিষয় নিয়ে আপনার ওয়েবপেইজটি ভরে রাখেন তাহলে ভিজিটররা আপনার সাইটে এসে অবশ্যই বিরক্ত বোধ করবে এবং দ্বিতীয় বারের জন্যে আর সাইটে আসতে চাইবে না।
২. সাইটের মধ্যে ইউনিক কনটেন্ট ব্যাবহার করতে হবে। সেই কনটেন্টগুলো হতে পারে ইউনিক কোনো ভিডিও, ছবি, আর্টিকেল ইত্যাদি অনেক কিছু। কারণ আপনার সাইটের ভিতরের কনটেন্টগুলোর কারণেই তো ভিজিটররা আসবে। এখন আপনার ম্যাক্সিমাম কনটেন্ট যদি অন্য কোথাও থেকে কপি করা হয় তাহলে সেটি না গুগল না ভিজিটর, কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এভাবে সাইটের প্রতি ভিজিটরদের বিশ্বস্ততা না থাকাই স্বাভাবিক।
৩. একই বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়েবসাইটের মধ্যে অযথা সাবডোমেইন বানানোর কোনো প্রয়োজন নাই। একটি পেইজের মধ্যে যদি আপনার সার্ভিসটাকে ফোকাস করার যথেষ্ট সুযোগ থাকে তাহলে শুধু শুধু আরেকটি পেইজ তৈরি করে একই সার্ভিস যোগ করতে যাবেন না।
৪.স্যোসিয়াল মিডিয়াতে ভাল অ্যাক্টিভিটি তৈরি করতে হবে। আগে যেহেতু এসইও করতে গিয়ে সবাই শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিং নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতো তখন বিভিন্ন স্যোসিয়াল সাইট যেমন Digg, Stumble upon, Yahoo ইত্যাদি সাইটগুলোর সাথে লিংকিং করা হতো। কিন্তু এখন আর এসবের গুরুত্ত্ব নাই বললেই চলে। এখন স্যোসিয়াল মিডিয়া ব্যাবহার করতে হয় আপনার সাইটের কনটেন্টগুলোর প্রমোশনের জন্যে। অর্থাৎ Facebook, Google plus, Twitter, LinkedIn ইত্যাদি সাইটগুলোতে আপনার সাইটকে প্রমোশন করার মাধ্যমে সাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে।

আমি অনেক সর্টভাবে লিখে আপনাদের বেসিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। কতটুকু সফল হলাম জানিনা, তবে এটুক বলতে যে এই লেখাতে চিরাচরিত লিংক বিল্ডিং এর ক্লিয়ার ধারণা দেয়ার জন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।
সবশেষে যেটা বলতে চাই সেটা হল কোনোভাবেই সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে টার্গেট করে সাইট বানাতে যাবেন না বা লিংক বিল্ডিং করতে যাবেন না। যথাসম্ভব ভিজিটরদের নিয়ে ভাবুন, কিভাবে ভিজিটররা আপনার সাইটের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে এবং কিভাবে তারা আপনার সাইট থেকে ভাল বেনিফিট পেতে পারে সেই অনুযায়ী সাইটের কাজ করুন এবং সেভাবেই লিংক বিল্ডিং করুন। যদিও লিংক বিল্ডিং এর গুরুত্ত্ব এখনো আছে তারপরও লিংক বিল্ডিং নিয়ে অযথা মাথা ঘামানোর দরকার নাই এবং এটি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। সবসময় মনে রাখবেন কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিই হচ্ছে মূল বিষয়।
 এসইও নিয়ে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য বা সমস্যা সমাধানের জন্যে নিচের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে জয়েন করতে পারেন: https://www.facebook.com/groups/blackiz.itinstitute/