হুটহাট মন মেজাজ ভালো করার সহজ যত কার্যকরী কৌশল
জীবনে খুশী থাকা পুরোপুরি মানসিক একটি ব্যাপার। অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নিজেদের জীবনে খুশী ছোট ছোট অনেক কিছুর মধ্য থেকে খুঁজে নেন। আবার অনেকে এমন রয়েছেন যারা কোনো কিছুতেই তেমন খুশী খুঁজে পান না। অনেকে ভাবেন অনেক টাকা পয়সা থাকলে খুশী হওয়া যায়। কিন্তু এটি অনেক বড় একটি ভুল ধারণা। কারণ টাকা পয়সা দিয়ে হাসি, খুশী, সুখ কোনটাই কিনতে পাওয়া যায় না।
প্রতিদিন নানা কারনেই আমাদের মন মেজাজ খারাপ হতে পারে। কিন্তু খারাপ মন-মেজাজ ঠিক করা আমাদের ওপরেই নির্ভর করে। আমরা আমাদের মন ভালো রাখবো না খারাপ সম্পূর্ণ আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই আজকে জেনে নিন মন ভালো করার সহজ ছোট্ট কিছু কাজের একটি তালিকা।

হাসুন

মন খারাপ কিংবা চড়ে আছে মেজাজ? কিছুই ভালো লাগছে না? কোনো কাজই ঠিক মতো হচ্ছে না? তাহলে হাসুন। মন মেজাজ এক মিনিটে ঠিক করার সব চাইতে সহজ উপায় হচ্ছে হাসা। কোনো মজার কথা বা ঘটনা মনে করুন। কিংবা টিভি বা কম্পিউটারে হাসির কোনো ভিডিও দেখুন। দেখবেন মন মেজাজ ঠিক হয়ে যাবে।

ভালো কোনো কাজ করুন

মানুষ যখন ভালো কোনো কাজ করেন তখন তিনি নিজের ভেতরে একটি সুখ অনুভব করেন। কাউকে সাহায্য করা কিংবা কারো কোন উপকারে আসলে মানুষের মন মেজাজ আপনা আপনি ভালো হতে শুরু করে। তাই মন মেজাজ ঠিক করতে চাইলে কোনো মানুষকে সাহায্য করে দেখতে পারেন। বাইরের মানুষকে সাহায্য করতে না পারলে ঘরের কাজে মাকে যেয়ে সাহায্য করুন কিংবা ছোট ভাইবোন গুলোকে সাহায্য করুন।

হাঁটতে চলে যান

আপন মনে শান্ত কোনো পরিবেশে হাঁটলে মনের অনুভূতি আপনা আপনি সাধারণ হয়ে যায়। মন মেজাজ খারাপ হলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন। নিজের এলাকার ভেতর কিংবা কোনো পার্কের মনোরম পরিবেশে খানিকক্ষণ হাঁটতে থাকুন। দেখবেন মনের কষ্ট কিংবা রাগের অনুভূতি দূর হয়ে ভালোলাগার অনুভূতি ফিরে আসছে।

ঘর গোছান

একটি গোছানো ঘরে ঢুকলেই মন ভালো হয়ে যায়। তাই নিজের মন মেজাজ ঠিক রাখার ও করার জন্য নিজের ঘরেরে অগোছালো ভাবটা দূর করুন। নিজের ঘরের এলোমেলো জিনিসগুলো গুছিয়ে আনতে আনতে দেখবেন মন খারাপের অনুভূতি কোথায় পালিয়েছে।

পুরোনো কোনো বন্ধুকে ফোন করুন

ফেইসবুকের মতো একটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ার পড়ে আমরা বন্ধুবান্ধবের সাথে ফোনে কথা বলা প্রায় ভুলতে বসেছি। কথা বলা, ম্যাসেজ করা সবই আমরা ফেইসবুকে করে থাকি। কিন্তু এতে কথা বলার মতো অনুভূতি পাওয়া যায় না। মন মেজাজ খারাপ থাকলে কোনো পুরোনো বন্ধুকে ফোন দিয়ে খানিকক্ষণ কথা বলে নিন। দেখবেন কথা বলার সাথে সাথে আস্তে আস্তে মন ভালো হওয়া শুরু হয়েছে।

Kindly Share This Post »»

0 comments :

Post a Comment