ইতিহাসে পৃথিবী - সৃষ্টির শুরু হতে বর্তমান পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস দেখুন ছবিতে

পৃথিবীর ইতিহাস
পৃথিবীর জন্ম কীভাবে তা আমরা কয়জন জানি? এটা আমাদের সবারই জানা যে পৃথিবীটা বেজায় প্রাচীন। আমাদের বয়স তার তুলনায় কিছুই না। কিন্তু কোথা থেকে এলো এই পৃথিবী? কি করে হলো প্রাণের উৎপত্তি? একটু আধটু ধারণা থাকলেও একেবারে পরিষ্কার ছবিটা ভাসে না অনেকের মনেই। এই ছবিগুলোর সাহায্যে দেখে নিন আমাদের পৃথিবীকে, একেবারে শুরু থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা পর্যন্ত!
পৃথিবীর ইতিহাস

সৃষ্টির শুরু

ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।
পৃথিবীর ইতিহাস

পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ

“থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ।
পৃথিবীর ইতিহাস

গলিত লাভার সমুদ্র

থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর।
পৃথিবীর ইতিহাস

প্রথম মহাদেশ

এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ।
পৃথিবীর ইতিহাস

প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস

মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”।
পৃথিবীর ইতিহাস

নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর

প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে।
পৃথিবীর ইতিহাস

মহা-মহাদেশ

মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো।
পৃথিবীর ইতিহাস

ভয়ংকর শীতকাল

৭৫০ বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ।
পৃথিবীর ইতিহাস

প্রাণের বিস্ফোরণ

৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়।
পৃথিবীর ইতিহাস

প্রাণীজগতের বিলুপ্তি

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের।
পৃথিবীর ইতিহাস

বরফ যুগ

পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ।
পৃথিবীর ইতিহাস

প্লাস্টিক যুগ?

বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে।

নতুন ধরণের ভ্যাম্পায়ার তৈরি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!!

ভ্যাম্পায়ার বলতে কি বুঝি আমরা? বিভিন্ন গল্প-সিনেমায় দেখা যায়, মানুষের মতো অবয়বের প্রাণী যারা সারা রাত জেগে থাকে এবং দিনভর ঘুমায়। তাদের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আছে বটে কিন্তু নিশাচরবৃত্তিটাই বেশি লক্ষণীয়। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন তৈরি হচ্ছে তেমনি নিশাচর আরেক ধরণের ভ্যাম্পায়ার। জানেন কি, এই ভ্যাম্পায়ার লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার নিজেরই পরিবারে!

কি করে তৈরি হচ্ছে এসব ভ্যাম্পায়ার আর তারা আসলে কেমন? আপনার বাড়িতে যদি থেকে থাকে টিনেজ অর্থাৎ তরুণ বয়সের কোনো সদস্য, তবে সম্ভাবনা আছে সেই এমন একজন ভ্যাম্পায়ার! একটু লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পারবেন, সে আসলে ঘুমের নাম করে মোবাইল অথবা পিসি ব্যবহারে মত্ত! সাধারনত ছুটির দিনের আগের রাতে এমনটা করতে দেখা যায় তরুণদেরকে। এদেরকে ভ্যাম্পায়ার বলা হচ্ছে কেন? কারণ এভাবে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে গিয়ে নিশাচর হয়ে পড়ছে তারা।

বর্তমান সময়ে তরুণদের জীবনে আসলে ব্যক্তিগত সময় খুবই কম। পড়াশোনা, পরিবার এবং সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদেরকে। নিজস্ব সময় পাওয়ার জন্য তাদেরকে হয়ে যেতে হয় ভ্যাম্পায়ার। বাবা মা ঘুমিয়ে পড়লে মাথার ওপরে কাঁথা টেনে নেয় তারা, যাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো কেউ টের না পায়। এর পর নিজের মতো করে ইন্টারনেটে সময় কাটায় তারা। ব্রাউজ করতে করতে অনেকটা সময় কেটে যায়, দেখা যায় রাত শেষ হবার পথে।

১৫ বছর বয়সি ওয়েন লানাহানের বাবা মা তাকে রাত ১০ টার সময়ে রান্নাঘরে মোবাইল রেখে ঘুমাতে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু সে কখনো কখনো মোবাইল নিয়ে যায় নিজের শোবার ঘরে। কাঁথার নিচে ল্যাপটপ লুকিয়ে রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে,মিউজিক কম্পোজ করে, মোবাইল ব্যবহার করে মেয়েদের সাথে কথা বলে বা টেক্সট করে। অনেক সময়ে কোনো কারণ ছাড়াই ল্যাপটপে বসে সময় নষ্ট করে বলে স্বীকার করে সে।

গবেষকেরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, এখনকার তরুণরা যথেষ্ট ঘুম পাচ্ছে না, ফলে ভেঙ্গে পড়ছে তাদের স্বাস্থ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় রাতভর ল্যাপটপ নিয়ে জেগে থাকার কারনে দিনকে দিন আরও কমে যাচ্ছে তাদের ঘুম। এইভাবে রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এসব ব্যবহার করাটার আলাদা একটা নামও দিয়েছে তরুন প্রজন্ম, আর তা হলো “ভ্যাম্পিং”, অর্থাৎ ভ্যাম্পায়ারের মতো আচরণ। তাদের এই রাত জেগে থাকার ছবি তুলে তারা ইন্সটাগ্রামে তুলে দেয় #teen এবং #vamping হ্যাশট্যাগ দিয়ে।

তরুণরা আসলে কেন নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এভাবে রাত জেগে থাকছে দিনের পর দিন? কারণ একে তো তারা নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারছে না দিনের বেলায়, তার ওপর এই “ভ্যাম্পিং” কে দেখা হচ্ছে অন্যদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় এবং আধুনিক করে তোলার পন্থা হিসেবে।

শোবার সময়ে তরুণদের কাছে মোবাইল বা ল্যাপটপ যে কোনো একটি থাকলেই তারা বারবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য চেক করতে থাকে। ব্যাপারটা একসময় নেশার মতো হয়ে যায়। ঘুম পেয়ে গেলেও নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার চিন্তায় তারা ল্যাপটপ বন্ধ করে ঘুমাতে পারে না। তাই তাদের এই “ভ্যাম্পিং” বন্ধ করতে হলে আসলে ঘুমানোর সময়ে ল্যাপটপ এবং ফোন বন্ধ করে শোবার ঘরের বাইরে রেখে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান।

যে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা ভুল হবে আপনার জন্য !

মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো
যে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা ভুল হবে আপনার জন্য !  
ড়াশোনা শেষ। ভালো চাকরি পেয়েছেন। ভাবছেন কিছুদিন প্রেম করি তারপর বিয়েটা সেরে নেবো। আপনার চারপাশেই রয়েছে কত না সুন্দরী আর স্মার্ট মেয়ে! তবে তাদের কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আগে একটু ভাবুন। সব মেয়েই কিন্তু আপনার সঙ্গে কেবল প্রেম বা বিয়ে করার জন্য সম্পর্ক করবে না। তাই সম্পর্কে জড়ানোর আগে বাংলামেইলের এই প্রতিবেদনটি অন্তত একবার পড়ুন!!
এরা শুধুই বন্ধু
এসব মেয়েরা আপনার সঙ্গে ঘুরবে, টেলিফোন করবে। ব্যস এ পর্যন্তই। এদের ওপর আপনি কখনো ভরসা করতে পারবেন না। এরা আপনার জন্য উপযুক্ত মেয়ে নয়। কারণ আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন সে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথাটা কখনোই আপনার পরিবার বা বন্ধুদের কাছে স্বীকার করবে না। তাই এদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো মানে নিজের সময় নষ্ট করা। এ ধরনের মেয়েরা যে কোনো সময় সম্পর্ক অস্বীকার করে বলতে পারে, ‘আমি তো এমনি এমনি ঘুরেছি’। বা নাটকের সংলাপের মতো ‘তুমি স্রেফ বন্ধু, অন্যকিছু নও।’
গায়ে পড়া স্বভাব
আর এক ধরনের মেয়ে আছে যাদের সবকিছুতেই একটু বাড়াবাড়ি। এ রকম স্বভাবের কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়লে আপনার জীবন নরক হয়ে যাবে। তাদের ভালোবাসার যন্ত্রণায় এক মিনিট শ্বাস নেয়ার ফুরসত পাবেন না। ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ফোন করবে। ফোন না ধরলে ম্যাসেজ দিয়ে দিয়ে আপনার মোবাইল বোঝাই করে ফেলবে। তারপর ফেসবুক তো আছেই। না, কোনো স্বাধীনতাই আপনি পাবেন না। এমনকি দিনে কয়বার বাথরুমে গিয়েছিলেন সেটাও তাদের জানা চাই। কেবল ওই আবেগঘন সম্পর্কটা শেষ হওয়ার পরই আপনি স্বস্তি পেতে পারেন!
তার টাকা আমার টাকা
এদের জীবনে টাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কারণে তারা সম্পর্ক করার সময়ই আপনার মানিব্যাগের সাইজের ওপর নজর রাখবে। কারণে অকারণে সুন্দরী তরুণীটি আপনার টাকা ওড়াতে থাকবেন। বাধা দিলে রাগারাগি, মন খারাপ। এদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গেলে আপনাকে টাকা খরচ করতেই হবে। কেননা তাদের কাছে আপনি বা আপনার ভালোবাসা সবসময়ই সেকেন্ডারি বিষয়।
বাড়াবাড়ি রকমের রূপসী
এরা দেখতে বেশ সুন্দরী, কিন্তু ভিতরটা ফাঁপা। তারা দামি পোশাক পরবে, নিজেকে সুন্দর করে সাজাবে। ফলে এসব মেয়ে সহজেই নজর কাড়ে। যে কোনো অনুষ্ঠানে তারাই মধ্যমনি। তাই এরকম কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে আপনার কপালে খারাপি আছে। এমনকি তার কোনো নীরব প্রেমিকের কাছ থেকে ঠ্যাঙানি খাওয়ার আশঙ্কাও নাকচ করে দেয়া যাচ্ছে না। দিনের মধ্যে কমপক্ষে দশবার করে আপনাকে বলতে হবে, ‘তুমি এই নশ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা। বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া বা ক্যাটরিনা তোমার নখের যোগ্যিও নয়।’ তারপরও সবসময় আপনাকে তটস্থ থাকতে হবে। কী জানি ভুল করে কোনো মেয়েদের দিকে তাকালেন বা কারো প্রসংশা করলেন! ব্যাস, তাহলেই হয়েছে।এত ঝামেলার কী দরকার ভাই। এদের এড়িয়ে চলুন, আখেরে আপনারই লাভ!
দোলদোল দুলুনি
এই এক ধরনের মেয়ে, যারা কোনোদিনই বড় হয় না। সারাজীবন বাবা-মায়ের ‘দোলদোল দুলুনি’ হয়ে থাকতে চায়। এদের সঙ্গে প্রেম করেছেন তো মরেছেন। সারাজীবন ধরে ‘নবজাতকের’ মতো তার দিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। আপনার প্রতিও যে তার কিছু দায়িত্ব আছে সেটা সে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না। আর কোনদিন রাগ করে কিছু বলেছেন তো তার চৌদ্দগোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহি করতে করতে জীবন শেষ। সত্যি বলতে কি এসব ‘ন্যাকুপ্যাকু’ মেয়েদের ওপর কখনো নির্ভর করা যায় না।
গল্পকথার রানী
তিলকে তাল করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। সারাদিন কটরকটর, ফটরফটর। এক মুহূর্তের জন্য ঠোঁট দুটো বন্ধ করতে রাজি নয়। অনেকদিন পর দেখা হয়েছে বা সারা দিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরেছেন। চাইছেন নিভৃতে প্রিয় সঙ্গিনীর সঙ্গে দু’চারটে কথা বলবেন। কিন্ত ‍তার কি আর জো আছে! অমুক কী করল, তমুক কী বলল- রাজ্যের কথা বলে আপনার মাথা ধরিয়ে দেবে। সত্যিকারভাবে বলতে গেলে এদের প্রেমিক বা স্বামীর কোনো দরকার নেই। এদের দরকার কেবল একজন নীরব শ্রোতা, যার কাছে মন খুলে পরচর্চা করা যায়।
সবজান্তা নারী
এরা হলো জীবন্ত বিশ্বকোষ। মহাজগতের সবকিছুই যেন জেনে বসে আছেন তারা। তাই অহঙ্কারে এদের মাটিতে পা পড়ে না। তাই এদের সঙ্গে কথা বলে কোনো শান্তি পাবেন না। যে কোনো বিষয় নিয়ে, যে কোনো স্থানে তারা আপনার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বে। আপনি রণে ভঙ্গ দিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করা না পর্যন্ত লড়াই চলতেই থাকবে। হতে পারে তারা সবজান্তা। কিন্তু তারা সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করে না। এছাড়া অন্যের আবেগকে মূল্য দিতে চায় না বলে এরকম মেয়ের সান্নিধ্যে আপনি সুখী হবেন না।
মুডি তরুণী
এরা এমনিতে ভালো- হাশিখুশিও থাকে খুব। কিন্তু এদের মুড বোঝা দায়। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়-এই বসন্ত তো পরক্ষণেই শীত। তাই এদের মনের নাগাল পাওয়া দুষ্কর। এদের সঙ্গে কথা বলার আগে আপনাকে অন্তত একশবার চিন্তা করতে হবে। কারণ আপনি তো গণক নন। আর এরা একবার রেগে গেলে আপনার দফা রফা। মনের যত ঝাল আপনার ওপরই মেটাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। প্রেম বা বিয়ে যা-ই করুন না কেন, বুঝে শুনে সময় নিয়ে করুন।

ফেইসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে ৫টি তথ্য !

ফেইসবুকে শেয়ার
ফেইসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে ৫টি তথ্য ! 
অনেকের জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। ফেইসবুকের মাধ্যমে এখন সবার সাথে যোগাযোগ বা আলাপ-আলোচনা কিংবা নিজের কাজ-চিন্তা সবকিছুই শেয়ার করে চাঙ্গা থাকছেন সবাই। বেশির লোকই মনে করেন তারা যা শেয়ার করছেন সেগুলো নিজের বন্ধুদের জন্য কিন্তু কেউ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ এটি পড়ছে কি না তা জানা যায় না। এই কারণেই কিছু তথ্য এমন রয়েছে যা কখনই ফেইসবুকের স্টেটাসে শেয়ার করবেন না।

নিজের ও পরিবারের পূর্ণ জন্ম তিথি
জন্মদিনের দিন ফেসবুকে প্রত্যেকেই হাজারো শুভেচ্ছা বার্তা পান যা সত্যিই মন ভালো করে দেয়। কিন্তু জানেন কি নিজের জন্ম তিথি ফেসবুকে শেয়ার করে আপনি আপনার একটি গোপন তথ্য সাইবার চোরদের জানিয়ে দিচ্ছেন? যদি ফেসবুকে নিজের জন্ম তারিখ লিখতেই হয় তবে জন্ম সাল একেবারেই লিখবেন না।

রিলেশনশিপ স্টেটাস
আপনি রিলেশনশিপে আছেন কি না তা ফেসবুকে একেবারেই শেয়ার করবেন না। এতে কেউ যদি আপনার উপর নজর রেখে থাকে তবে সে জেনে যাবে আপনি কখন সিঙ্গেল রয়েছেন এবং কখন রিলেশনশিপে রয়েছেন। এতে আপনার বিপদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

নিজের বর্তমান অবস্থান
বেশকিছু লোক প্রত্যেকটা জিনিষ ফেসবুকে আপডেট করেন। তারা বেশির ভাগ সময়েই কোথায় রয়েছেন তাও লোকেশনের সঙ্গে ট্যাগ করে দেন। এতে সকলেই জানতে পারেন আপনি কখন কোথায় রয়েছেন। যদি আপনি জায়গায় নাম ট্যাগ করে লিখে দেন যে ছুটিতে যাচ্ছেন তবে আপনার ক্ষতি করার কথা যদি কেউ ভেবে থাকে তবে সে আপনার সম্পর্কে গোটা তথ্যটাই পেয়ে যাবে। নিজের ছুটির কথা ও ছুটির ছবি অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করুন কিন্তু তা অবশ্যই বাড়ি ফেরার পর।

আপনি বাড়িতে একা আছেন
অভিভাবকেরা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার সন্তান ফেসবুকে বাড়িতে একা থাকার কথা যেন কখনই না শেয়ার করে। এতে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকেরা এই খবরটি পেয়ে যাবে এবং তারা এই সুযোগের দুর্ব্যবহার করতেই পারে।

নিজের বা সন্তানের ছবি তাদের নামের সঙ্গে ট্যাগ করা
বেশির লোকই তাদের সন্তানের ছবি নাম দিয়ে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। কিছু অভিভাবক সন্তানের জন্মের পরই তাঁর ছবি হাসপাতালের ঠিকানা লিখে স্ট্যাটাস আপডেট করেন। বন্ধু, আত্মীয়দের ছবিও অনেকেই পোস্ট করেন ও ট্যাগ করেন। এটা একেবারই ঠিক নয়। ফেসবুকে ছবি আপলোড করলেও চেষ্টা করবেন সেটি অন্য কাউকে ট্যাগ না করার। -