কার্টুন সুন্দরি !!

কার্টুন সুন্দরি !! 
পুতুল দেখলেই তার দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে, কারণ পুতুলের অনেক সৌন্দর্য। আচ্ছা পুতুলের মতো কী মানুষ হয়? উত্তর কী দেবেন ভাবছেন? আমিই বলে দিচ্ছি, হয়। চীনদেশে কোকো নামের এক জলজ্যান্ত বালিকা আছে যে দেখতে পুতুলের মতো সুন্দরী।

এখন ভাবছেন চীনা মেয়ের আবার এ রকম চেহারার হয় নাকী?

জাপানি আর চাইনিজদের চোখের আকৃতি কিন্তু বেশ ছোট হয়। কিন্তু এদের বানানো মোটামুটি সব কার্টুনেই প্রতিটি চরিত্রের চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় হয়। এ রকম এক কার্টুন চরিত্রের নাম ‘টিনা লেপার্ড’। এই চরিত্রটি জাপানে খুব বিখ্যাত।

এটি এতটাই বিখ্যাত যে, চাইনিজ এবং জাপানি মেয়েরা এই কার্টুন চরিত্রের অনেক পোশাক পরে থাকে। কিন্তু কোকো তো আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। সে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজের চেহারাই করে নিয়েছে দূর কোনো গ্রহ থেকে আসা সেই টিনা লেপার্ডের আকৃতির।

কোকো তার নিজের চোয়াল চিকন আর চোখের আকার বড় করেছে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে। আর চোখে পরেছে লেন্স। এ রকম বড় চোখের মনি করার জন্য আর সঙ্গে যাবতীয় সব চোখের মেকআপ, যা তার চোখের এ রকম রূপ দান করেছে।

এখন অনেকেই অনুকরণ করছে কোকোকে।

বিশ্বখ্যাত কর্পোরেট কোম্পানি গুলর নামকরণের ইতিহাস !!

আজকে আপনাদেরকে বিশ্বের পরিচিত সেরা কিছু প্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরব। তবে কিছুটা অন্যভাবে। সেইসব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো নাম কিভাবে বাছাই করা হয়েছে, তা জানার আগ্রহ সবারই অনেক। আজকে সেই রকম কিছু তথ্য ইন্টারনেট থেকে আপনাদের জন্য সংগ্রহ করেছি। আশা করি পোস্টটি ভাল লাগবে।

অ্যাডোবি

লোগোটা দেখে কোম্পানীটাকে মনে হয় চিনতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা না। গ্রাফিকস দুনিয়ার সেরা সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, অ্যাডোব, যাদের সফটওয়্যার অ্যাডোব ফটোশপ, অ্যাডোব ইল্যাস্ট্রেটর গ্রাফিকস কাজে সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত সফটওয়্যার। ক্যালিফোর্নিয়ার লস আন্টোসে অবস্থিত অ্যাডোবি নামের একটি খাঁড়ির নামে কোম্পানির নাম অ্যাডোবি সিস্টেমস রাখা হয়। এই খাঁড়িটি অ্যাডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন ওয়ারনক বাড়ির পেছন দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অ্যামাজন

অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন রিটেইলার। জেফ বেজস তার কোম্পানির জন্য এমন একটি নাম রাখতে চাচ্ছিলেন যা A দিয়ে শুরু হবে। তিনি ডিকশেনারি নিয়ে নাম খোজা শুরু করলেন এবং অ্যামাজন নামটি ঠিক করলেন, যা একটি নদীর নাম এবং এটিকে মনে করা হত সেই সময় সবচেয়ে বড় নদী। তিনি চাচ্ছিলেন অদূর ভবিষতে তার কোম্পানি অ্যামাজনের মতই বড় হবে। তার স্বপ্ন পূরন হয়েছে বলাই যায়। অনেকে অ্যামাজন নামে যে একটা নদী আছে তা হয়ত জানেনা। কিন্তু অ্যামাজন ডট কমের নাম ঠিকই জানে।

ক্যানন

লোগোটা চিনেছেনতো? ক্যানন হচ্ছে ইলেকট্রনিক, অপটিক্যাল, কনজুমার ইত্যাদি তৈরির জন্য জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি। কোম্পানির প্রথম ক্যামেরার নাম ছিলো কাওয়ানন- যা থেকে কোম্পানিটির নামকরন করা হয়। ১৯৩৫ সালে জাপানিজ এই দাঁতভাঙ্গা নামটাকে ক্যানন নাম দিয়ে একটু ভদ্রস্থ করা হয়।

কোকাকোলা


এ কোমল পানীয়র নাম জানেননা, এরকম মানুষ গ্রামে-গঞ্জে গেলেও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কোকা-কোলা সংক্ষেপে কোক (Coke) নামে পরিচিত এটি বিশ্বে অন্যতম বড় একটি কোমলপানীয় বিক্রেতা প্রতিষ্টান। কোকা-কোলা নামটি এসেছে কোকা পাতা এবং কোলা বাদাম থেকে যা সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কোলাকে ইংরেজিতে K দিয়ে লেখা হলেও সৌন্দর্যে কথা চিন্তা করে তারা C দিয়ে লেখে।

আই বি এম

বিশ্বের সবচাইতে বৃহত্তম কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি হচ্ছে আই বি এম  যা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। ১৯১১ সালে আইবিএম প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এর পূর্ণ নাম থেকে এসেছে। এ কোম্পানীর পূর্ণ নামঃ IBM, পূর্ণরূপ: International Business Machines Corporation

ইন্টেল

পিসি কিনতে গেলেই আমরা দোকানে গিয়ে বলি যাতে ইন্টেলের প্রসেসর দেয়। বেশীরভাগ মানুষ এটাই ব্যবহার করে। ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক্সের সংক্ষিপ্ত রুপ হলো ইন্টেল।

নাইকি


নাইকি ইনকর্পোরেশন বিশ্বব্যাপী খেলাধুলার সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এর সদর-দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। গ্রীক বিজয়ের দেবী নাইকির নামানুসারে নামকরন করা হয়।

নাইকন

ক্যামেরার ব্রান্ড হিসেবে বহুল পরিচিত ব্রান্ড নাম, নাইকন। নাইকন বা নিকন কর্পোরেশন একটি বৃহৎ জাপানি অপটিকস ও ইমেজিং কোম্পানি। নিপ্পন কোগাকু শব্দের সংক্ষিপ্তরুপ হচ্ছে নাইকন- যার মানে হচ্ছে জাপানিজ অপটিক্যাল।

নিশান

জাপানিজ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। যার পুর্বনাম ছিল নিপ্পন স্যাংগুয়ো মানে জাপানিজ ইন্ডাস্ট্রিজ।

নোকিয়া


একটা সময় ছিল মোবাইল বলতে মানুষ কেবল নোকিয়াকেই বুঝত। এমনকি অনেক ব্লগারেরই দেখা যাবে প্রথম ফোনটি ছিল নোকিয়ার (আমারও) কিন্তু ফিনল্যান্ডভিত্তিক এই কোম্পানীটি তার আগের ববস্থান হারিয়ে ফেলেছে, তাদের নিজেরদেরই কিছু গুয়ার্তুমির কারনে।
ফিনল্যান্ডের নোকিয়া শহরের নামে তাদের নামকরন করা হয়। জানেন প্রথমে কি ব্যবসা করত এই নোকিয়া? উড-পাল্প মিল দিয়ে তাদের মিশন শুরু হয়।

পেপসি


কয়দিন আগেও ফেইসবুকের হোমপেইজে ঘুরত একটি সাবধানবাণী। মুসলমান হিসেবে আমাদের পেপসি খাওয়া উচিত না। কারন পেপসি মানে – “Pay Each To Save Israel”।
কিন্তু পেপসি শব্দটি এসেছে, পেপসিন নামক এনজাইম থেকে-যা হজমে সাহায্য করে। (আমারে কেউ ইজরায়েলের দালাল ভাইব্বেনা) পেপসির পুর্ন নাম “Popular Electronic Production Services Industry” ।

স্কাইপ


স্কাইপ কী, এটার কাজ কী?? এটা খায় না পরে??? আমি বলব কেন???? আপনারাই আমার থেকে ভালো জানেন!!! কত কেলেংকারি এটা নিয়ে, একজন সম্পাদক এখনও জেলে আছেন।২০০৩ সালে ডেনমার্কের ধমিজা, জানুজ ফ্রিজ এবং সুইডেনের নিকলাস জেনস্ট্রম স্কাইপ প্রতিষ্ঠা করেন। আদি নাম ছিল স্কাইপার যেটি এসেছে স্কাই-পিয়ার-টু-পিয়ার থেকে। অনেকে একে স্কাইপি বলে, কিন্তু আসল নাম হচ্ছে স্কাইপ।

রিবক


ব্রিটেনভিত্তিক জুতা, কাপড় ও খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক। রিবক নামটি এসেছে আফ্রিকান রেহবক শব্দ থেকে। যা একজাতীয় কালো হরিণ।

সনি


রংগিন টিভি মানেই সনি!! কি ভুল বললাম? সনি কর্পোরেশন জাপানী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা। ল্যাটিন শব্দ সুনাউ থেকে সনি শব্দটি এসেছে যার মানে হচ্ছে শব্দ (সাউন্ড)।

ভার্জিন


আরেকটি কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি শুরু করার সময় একটি মেয়ে বলে, ভার্জিন নাম দিলে কেমন হয়? যেহেতু ব্যবসা ক্ষেত্রে আমরাও ভার্জিন।

ভোডাফোন


হায় হায়, আমি তো জানতাম এটা দাদাদের দেশের কোম্পানি। এটা তো আসলে ইংল্যান্ডের। ভয়েস, ডাটা, টেলিফোন থেকে এসেছে ভোডাফোন শব্দটি।

ভক্সওয়াগন


জার্মানীর অটোমোবাইল কোম্পানি। অবশ্য জার্মানীরা উচ্চারন করে ফক্সওয়াগন। যার মানে হচ্ছে গাড়িতে জনতা।
পরের পর্বে আরো কিছু ভাল কোম্পানীর নামের নামকরণ কিভাবে এসেছে, তা জানাব। পোস্টটি কেমন লাগল কমেন্টে জানাবেন এবং আশা করি সবার সাথে শেয়ার করবেন।

ভাবনা গুলো পরিবর্তনেই সফলতা

১। যারা জীবনে বড় কোন বাধা কিংবা ব্যর্থতা  আসলে হতাশ হয়ে পড়েন। ভাবেন সব শেষ তাদের জন্য নিচের লাইনটি।  মনে রাখতে পারেন সবসময়।

 পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়।
বরং যথা সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার।

২।  আজ থেকে ২-৩ বছর আগেও কারও সাথে ঝগড়া হলেই সেই ঝগড়াতে জিততে চাইতাম। এখনও তর্কে জিততে না পারলে নিজের পেট গুড় গুড় করে। তবে নিজেকে পরিবর্তন করেছি। ভাবতে শিখেছি, তর্কে জেতাতে কোন কৃতিত্ব নাই।  আমি নিজেকে সেই ব্যপারে পরিবর্তন করে ফেললেও আশেপাশের অন্যদেরের মধ্যে এই অভ্যাসটা অনেক বেশি দেখি।  এধরনের বন্ধুদের জন্য নিচের এ বানী।

তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়
বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।

৩।  মাঝে মাঝে আমার কিছু বন্ধুদের দেখি , যারা সবার উপকারের জন্য তার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় বের করে হয়ত কিছু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের বাঙ্গালীদের স্বভাব হচ্ছে কারও সমালোচনার করার সুযোগ বের করা। ভাল কিছু করলেও সেখানে সমালোচনা করার কোন না কোন অপশন খুজে সে বের করবেই। সেজন্য আমার সেইসব বন্ধুরা হয়ত এ বিষয়টি দেখে খুব আপসেট হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, যে আর কখনও মানুষের জন্য কিছু করবেনা। আমি নিজেও যে এরকম দেখলে হতাশ হইনা তা বলবনা। তবে অন্যদের চাইতে কম হই। কারন আমি সবসময় ভাবি নিচের কথাটি।

তুমি যতটা মূল্যবান ততটা সমালোচনার পাত্র হবে।

৪।  যারা নিজেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ভাবে, তারাই জীবনে ভুল বেশি করে, বোকামী করে। তাই এসব বুদ্ধিমানদের সচেতন করার জন্য আমি বলব।

বুদ্ধির সীমা আছে কিন্তু বোকামীর কোন সীমা নেই।

৫।  আপনি কি খুব হতাশ? মানুষ আপনাকে চিনতে পারলনা। ভুল বুঝছে সবাই? তাহলে মনে রাখুন,

জ্ঞানী মূর্খকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী।
পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ।

৬।  প্রত্যেকের জীবনেই বন্ধুর প্রয়োজন আছে অনেক বেশি, তবে সেটি হতে হবে প্রকৃত বন্ধু, যে আপনার বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসবে। আপনার বিপদে যাকে আশেপাশে হারিকেন দিয়েও খুজে পাওয়া যায়না। তাদের ব্যাপারে এখনই সচেতন হন। তবে আবারও বলি এজন্য বন্ধু ছাড়া কখনই চলবেননা। কারণ হচ্ছে,

বন্ধুত্ব একটি ছাতার ন্যায়।
বৃষ্টি যতই প্রবল হয় ছাতার ততই প্রয়োজন হয়।

৭। মানুষ মাত্রই ভুল করে।  অনেক বড় একটি ভুল করে হয়ত নিজেকে অনেক বেশি তিরস্কার করছেন। আরে ভাই ভুল না করলে পরবর্তী সঠিক কাজটি কিভাবে করবেন? মনে রাখবেন-

ভূল করা দোষের কথা নয়
বরং ভূলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়।

celebrate-success
৮।  আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকেই অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর এ ব্যস্ততার লাইফে তখন মনে করা শুরু করি, কাজের বাইরে কারও সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা মানে সময়ের অপব্যয় করা। ভুলে যান আপনার এ ভুল ভাবনাটি। যখন অর্থ উপার্জনটাই আপনার টার্গেট, তখন আপনাকে আরো বেশি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। শুধু তাইনা, বন্ধুত্বের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য বিভিন্ন তাদের সাথে দেখা হবে এরকম সকল প্রোগ্রামগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে হবে।  ব্যস্ততার জন্য যারা বন্ধুত্বের সম্পর্ককে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, তাদের জন্য বলছি।

মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না।
কারণ, বন্ধুত্ব স্থাপনই অর্থাপর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

৯।  আপনি যদি সবার সাথেই ভাল সম্পর্কে রাখতে চান, সবার কাছে প্রিয় পাত্র হতে চান, তাহলে নিচের কথাটি মনে রাখুন এবং নিজের মধ্যে প্র্যাকটিস করুন।

মানুষের সাথে সে রূপ আচরণ কর যেমন তারা পছন্দ করে।
নিজের পছন্দ মাফিক আচরণ কর না।

১০।  কেউ আপনার সাথে অত্যন্ত অন্যায় আচরণ করেছে? আপনি তাকে কিছু বলতে পারেননি। এজন্য নিজের উপর অনেক আফসোস হচ্ছে, তাইনা? হুম, কিছুদিন আগে আমার পরিচিত খুব আপন দুইজনের সাথেও এরকম কিছু অন্যায় হয়েছে। তারা চাচ্ছিল, আমি সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমি রহস্যজনকভাবে কিছুই করিনি দেখে, তারা আমার উপর মন খারাপ করেছিল। আমি কেন কিছু করিনি? কারন আমি বিশ্বাস করি নিচের কথাটি।

আহম্মকের সাথে তর্ক কর না।
কারণ,মানুষ হয়ত দুজনের মাঝে পার্থক্য করতে ভূল করবে।

১১।  আপনার সাথে কেউ বেয়াদবি করেছে, দেখে হয়ত খুব ক্ষেপে গিয়েছেন।  কিন্তু জেনে রাখুন, যে বেয়াদবি করেছে, তাকে আপনি কোন ভাবেই দোষারোপ করতে পারেননা। কারণ সমস্যাটা আসলে আপনার নিজেরই। আমার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? আমার কথার পিছনে অবশ্যই যুক্তি আছে। যুক্তি হচ্ছেঃ

তোমার পিঠে কেউ ততক্ষণ পর্ন্তত চড়তে পারবে না
যতক্ষণ না তুমি পিঠ নিচু কর।

১২।  আপনার ধারণা আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন হচ্ছেনা।  তাহলে সেই মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য আপনার কাজ দেখিয়ে খুশি করার চেষ্টা শুরু করুন। অবশ্যই একদিন মূল্যায়ন হবেই। আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি।

যে অধিকার আদায়ের পেছনে চেষ্টা চালানো হয়
তা কখনই বৃথাযায় না।

১৩।  আমিতো আইটি বিষয়ক ট্রেনিংয়ের সাথে জড়িত আছি।  সেখানের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অনেকে আউটসোর্সিংয় করবে, এ আশা নিয়ে আমাদের কাছে কোর্স করতে আছে। কিন্তু কোর্স করার সময় যখন প্রেসার পড়ে, তখন তারা কোর্সটি শেষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাদের জন্য ইমাম মুসলিম (রহ.) এর এ বানীটি মনে রাখার উপদেশ দিচ্ছি।

ইমাম মুসলিম (রহ) বলেন:
“শরীরকে আরামে রেখে জ্ঞানার্জনকরা সম্ভব নয়।”

১৪।  কোন কোন সময় ছোট ছোট অন্যায়ও অনেক বড় বিষয় হয়ে দাড়ায়, কারণ যার সাথে অন্যায় করেছেন, তিনি হয়ত অনেক বড় একজন ব্যক্তি।  এ বিষয়ে বেলাল বিন রাবাহ (রহ.) এর একটি বানী মনে পড়ে গেল।

বেলাল বিন রাবাহ (রহ) বলেন:
“পাপ ছোট কি না তা দেখনা
বরং দেখ যার অবাধ্যতা করছ তিনি কত বড়।”

১৫।  দুনিয়া থেকে আর কতকিছু নিবেন? এবার নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিচের বানীটি কি আগে কোথাও শুনেননি?

রাফেঈ বলেন:
“যদি তুমি দুনিয়াকে নতুন কিছু উপহার দিতে না পার
তবে তুমি দুনিয়ার একটি বোঝা।”

নিজেকে পরিবর্তন
সবশেষঃ আমার ফেসুবকের ABOUT  এ গেলে Favourite Quotations এ   দুটি ইংরেজী  কটেশন দেখতে পাবেন। আমি যখন অনেক বিপদে পড়ি, কোনভাবেই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা দেখিনা। তখন এটি আমি নিজে বার বার পড়ি, যাতে নিজের মনের শক্তি ফিরে পাই। আপনাদের সাথে সেটি শেয়ার করছি।

-  “Sometimes all doors maybe closed for you but remember they aren’t locked “

-  “Difficulties in your life do not come to destroy you, But to help you realize your hidden potential and power, Let difficulties know that you too are difficult.”

কি বুঝলেন? না বুঝলে খুব মনোযোগ সহকারে সময় নিয়ে পড়ুন। এবার নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন। দেখবেন নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনতে পারবেন। যদি মনে হয়  এ পোস্টটি আপনাকে পরিবর্তন করতে কাজে লাগবে, তাহলে নিজের কাছে সংরক্ষণ রাখুন, অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন।
যারা নিজেদেরকে অনেক বেশি অসুখী ভাবেন তাদের জন্য এর আগে আমি অন্য একটি পোস্ট করেছিলাম, সেটিও পড়ে দেখতে পারেন।

জনশূন্য পৃথিবী পথেই কি এই সভ্যতা ?

জনশূন্য পৃথিবী পথেই কি এই সভ্যতা ? 
চারদিকে যুদ্ধ-বিগ্রহ আর নিউক্লিয়ার বোমার এই যুগে আমাদের ভাবতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যারা এখনো পৃথিবীতে আসেনি। একশো দুইশো নয়, ভাবতে তবে এক হাজার বা দুই হাজার বছর পরের প্রজন্মের কথা। চারদিকে দৃষ্টি দিলে তাদের জন্য স্রেফ আশা পুষে রাখা ছাড়া আরো কোনো উপায়ই যেনো নেই। তাই বুকে আশা ধরে রেখে  এসব বিষয়ে কেউ আর তেমন ভাবেন না।
তবে সবাই এ ভাবনা থেকে সরে যাননি। সেই মধ্যযুগের  নস্টারডামস পর্যন্ত এই গ্রহের শেষ পরিণতি জানার চেষ্টা করেছিলেন। 'দ্য টাইম মেশিন' বইয়ে এইচজি ওয়েলস মানবজাতির ভবিষ্যতের পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য দৃষ্টিপাত করেছেন।
এসব ভবিষ্যতদ্রষ্টা মানুষের চেষ্টার পরও কিছুই বদলায়নি। যুগ যুগ ধরে মানব জাতি নিজেরাই তার নিজের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আর আধুনিক যুগে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ভবিষ্যত পৃথিবী নিয়ে শুধু আশঙ্কাই প্রকাশ করতে হয়। এখন পর্যন্ত আমরা প্রযুক্তিতে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে গেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সামাল দিতে অক্ষম।
মানুষের নিজেরা অদৃশ্যবাদের বিষয়ে অসহায় বোধ করে। বহুদিন থেকেই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন আলামত দেখে। কিন্তু তা কখন আসবে এবং যদি এসেই পড়ে তবে ভবিষ্যতের মানুষগুলোর জন্য আমরা কী রেখে যাবো তার কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। যদি আমাদের এই বিশাল উন্নতি, বুদ্ধিমত্তা ও মানবতা হারিয়ে যায়, তবে পরের অংশে কী হবে?
মানব জাতির ইতি ঘটবে এমন পাঁচটি ঘটনার কথা এখানে বলেছেন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এই তালিকাই শেষ কথা নয়। আমাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি এমন 'সুপার ভলকানো' খুঁজে পাওয়া যায় ১৯৭০ এর প্রথম দিকে। আণবিক বোমা বানানোর 'ম্যাটহাটান প্রজেক্ট' এর আগে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা ছিলো না, কিন্তু এখন রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে অনেক কিছু না ঘটার কথা বলা হলেও পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে যেকোনো কিছু ঘটার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখানে দেখা যাক মানব জাতির ইতি ঘটাতে পারে এমন পাঁচটি বিষয়।
১. নিউক্লিয়ার যুদ্ধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে দুটো নিউক্লিয়ার বোমার ব্যবহার হয়। এর ভয়াবহতা প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ করেছে মানব জাতি। সেই থেকে নিউক্লিয়ার বোমার ব্যবহার আর সম্ভব নয় মনে করা হলেও, ক্ষমতাশালীরা কিন্তু এই বোমার মাধ্যমেই নিজেদের ক্ষমতাবান হিসেবে প্রকাশ করছে। কিউবার 'মিসাইল ক্রাইসিস' প্রায় নিউক্লিয়ার বোমায় রূপ নিতে যাচ্ছিল। প্রতি ৬৯ বছরের মধ্যে যদি একবার এই বোমার মালিক হওয়ার চেষ্টা করে কেউ, তবে প্রতি তিনটি ঘটনার মধ্যে একটি সম্ভাবনা থাকে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ হওয়ার। আমেরিকা ও সোভিয়েতের ইতিহাস নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনায় পূর্ণ ছিলো। পরিস্থিতি বদলে গেলেও সেই উত্তেজনা এখনো জিইয়ে রাখা হয়েছে এবং সেই সম্ভাবনাকে শুন্যের কোঠায় নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নিউক্লিয়ার যুদ্ধ হলেই পৃথিবীটা মানবশুন্য হতে সময় লাগবে না। পাশাপাশি অন্য হুমকি হচ্ছে 'নিউক্লিয়ার উইন্টার'। জলবায়ু যেভাবে বদলে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে খাদ্যের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে এবং না খেয়ে মারা যাবে মানুষ।
২. বায়োইঞ্জিনিয়ার
যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ খুনীর রূপ নিতে পারে বায়োইঞ্জিনিয়ার। মানুষের মাঝে রোগ ছড়িয়ে গেলে তার ফলাফল কী হয় তা দেখা গেছে ইউরোপে সিফিলিসের আক্রমণের পর।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা মরণ রোগ তৈরি করতে পারি এবং একে ব্যবহার করা হতে পারে শত্রু নিধনে। ইঁদুরের পক্সে একটি জিনের সংযোজনে স্মল পক্সের জন্ম হয়। সম্প্রতি বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণ প্রমাণ করেছে যে, বায়োইঞ্জিনিয়ার ক্রমাগত নতুন রোগের সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে এই জৈব প্রকৌশল অনেক সহজ ও সস্তা হয়েছে যা মানুষকে আরো রোগ সৃষ্টি করার কাজকে সহজ করবে।
আয়ুম শিনরিকোয়ো নার্ভ গ্যাসের পাশাপাশি অন্যান্য বায়োউইপন ব্যবহার করেছিলেন মানব জাতিকে শেষ করার জন্য। যারা মানুষবিহীন পৃথিবীকে পছন্দ করেন, তাদের সংখ্যা গুটিকয়েক হলেই মানব জাতি তার অন্তিম মুহূর্ত দেখবে।
৩. সুপারইন্টেলিজেন্স
ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা মানুষকে আজ এতো দূর এনেছে। কিন্তু অনেক কিছু বানাতে ব্যবহার করা হচ্ছে সুপারইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার। এর ব্যবহার দিয়ে মানুষ কল্পনাকে বাস্তবায়িত করছে ঠিকই, তবে এর দ্বারা অসৎ মহা পরিকল্পাকেও বাস্তবায়িত করা অসম্ভব নয়। কারণ সুপারইন্টেলিজেন্স এর মধ্যে মানবিকতা দেওয়া যায়নি।
এ বিষয় নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়টি হলো, আমরা জানি না সুপারইন্টেলিজেন্সের মহা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে কিনা, আর ঘটলেই বা কী হতে পারে। তা ছাড়া আমাদের বিজ্ঞান যে হারে কাজ করতে পারে, সুপারইন্টেলিজেন্স তার তুলনায় বিদ্যুৎবেগে কাজ সারতে পারে। তার এ কাজে আমাদের নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে কী ঘটবে আমরা জানি না। এই বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীসতায় ভুগছেন বর্তমানকালের বিজ্ঞানীরা।
৪. ন্যানোটেকনোলজি
একেবারে অণুর আকারের একটি বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয় ন্যানোটেকনোলজি। এতে খারাপ কিছুর আশঙ্কা না থাকলেও যদি ধ্বংসের কাজে এর ব্যবহার হয়, তবে তা কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে তার কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। যেকোনো কিছুর এমন অতি ক্ষুদ্র সংস্করণ বানানো প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে বায়োলজি মৌলিকভাবেই কার্যকর। কিন্তু ন্যানোটেক আমাদের কতো দূর নিয়ে যাবে বোঝা যাচ্ছে না। যদি এটিও ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করা হয়, তবে মানবজাতির ইতি ঘটাতে সবচেয়ে ছোট এবং ভয়ঙ্কর শত্রুর যোগ হবে।
৫. অজানা শত্রু
ওপরের প্রত্যেকটি বিষয় একাই এই পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারওপর রয়েছে এগুলোর এখন পর্যন্ত না জানতে পারা অধ্যায়। এগুলোর ভবিষ্যত চেহারা কেমন হবে বা এর ব্যবহার কী ধরনের হবে তা এখনো অজানা। আর খারাপ উদ্দেশ্যে যদি ব্যবহার করা হয়, তবে এখনকার নমুনা দেখেই বলা যায় মানবজাতির ইতি এসবেই লুকিয়ে রয়েছে।
এগুলোর পাশে রয়েছে পুরোপুরি অজানা আশঙ্কা যার কেবল আন্দাজ করতে পারছে বিজ্ঞান, ব্যাখ্যা করতে পারছে না।
এই তালিকায় জলবায়ুর পরিবর্তনের করাল গ্রাস এবং উল্কাপিণ্ডের আঘাতের কথা বলা হয়নি। জলবায়ুর পরিবর্তনে যেকোনো প্রাকৃতির দুর্যোগের মোকাবিলা করতে থাকবে মানব জাতি। কোনভাবে হয়তো এদের থামানো যাবে। ভয়ংকর উল্কার আঘাতে মানব জাতির বিশাল অংশ শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু পৃথিবী ধ্বংস করার মতো দুর্যোগ ও উল্কার আঘাতের সম্ভাবনা প্রতি এক মিলিয়ন বছরের মধ্যে একবারেরও কম। তাই এগুলোকেও উপেক্ষা করা হয়েছে।
কিন্তু ওপরের তালিকার বিষয়গুলো মানুষের নিজের তৈরি। তই এর প্রয়োগ তারাই ঘটাতে পারে। আর এসবের শক্তি অসীম যা ঠেকানোর সাধ্য এখন পর্যন্ত বের করা যায়নি। ঠেকানোর একটিই উপায় রয়েছে। তা হলো, এগুলোর প্রয়োগ ঘটতে না দেওয়া।