নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার হারোয়া কারিগরপাড়ায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় শরীরে বৃহস্পতিবার ভোরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ফতেজান হারোয়া গ্রামের মৃত ফয়েজউদ্দিন কারিগরে স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, ফতেজান বেওয়ার তিন ছেলে ও ৫ মেয়ে। তিন ছেলে মকবুল, মসলেম ও মোজাম্মেল কেউই তাকে ভরণ-পোষণ করতো না। তিনি তার মেয়ের কাছে থাকতেন। মেয়ে জামাইয়ের দৈন্যতার কারণে ১৬ দিন আগে তিনি ছেলেদের কাছে আসেন। কিন্তু তিন ছেলের প্রত্যেকেই তাকে ভাত-কাপড় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ভাতের অভাবে গত ১৬ দিন যাবৎ তিনি খেয়ে না খেয়ে প্রায় অভূক্ত অবস্থায় কাটান। বুধবার দুপুরে তিনি বড় ছেলে মসলেমের বাড়িতে ভাত চাইতে গেলে মসলেম ও তার স্ত্রী তাকে গালাগালি করে এবং গলায় দড়ি দিয়ে মরে তাদেরকে নিঃস্বীকৃতি দিতে বলে। এতে মনের দুঃখে বুধবার মধ্যরাতে ফতেজান বেওয়া ঘরের বাইরে গিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন দ্রুত সাড়া শরীরে ছড়িয়ে পড়লে তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে অগ্নিদগ্ধ ফতেজানকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Kindly Share This Post »»

0 comments :

Post a Comment