মানুষের জীবন সত্য-মিথ্যায় পরিপূর্ণ। মিথ্যা তো স্রেফ মিথ্যা। ওদিকে সত্যের নানা রূপ থাকলেও আজ শুধু অপ্রিয় সত্যের আলোচনাই হোক। মানুষের জীবনে বেশি কিছু অপ্রিয় সত্য রয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞরা আপনার জীবনের সাতটি অপ্রিয়-তিক্ত সত্যের সন্ধান দিচ্ছেন যা সবারাই জানা থাকা প্রয়োজন। তবে তাদের পরামর্শ, প্রতিটি ঘটনাই জীবনে শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে ভিন্ন বৈচিত্র্যময়তা থাকলেও কিছু অপ্রিয় সত্য রয়েছে যা বিভিন্ন চেহারায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই আসে। এগুলোকে চিরন্তন সত্য বলেই মনে করা হয়।
১. জীবন আসলে নিরপেক্ষ নয়
জীবনের কোনো না কোনো সময় আপনি ঠিকই উপলব্ধি করবেন যে, জীবনটা আসলে নিরপেক্ষ নয়। আর এ সত্যটি সবচেয়ে কদর্য সত্যগুলোর একটি। কোনো লক্ষ্যের দিকে আপনি জীবন বাজি রেখে দৌড়ে কেবল ভাঁওতাবাজি করে সে লক্ষ্য অন্য কেউ হাসিল করতে পারেন। সেখানে ওই ভাঁওতাবাজের লক্ষ্য হাসিলকে যখন তার সফলতা হিসেবে বাহবা দেওয়া হয়, তখন জীবন আপনাকে শেখালো যে সব কিছু নিরপেক্ষ নয়।
২. সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না
জীবন থেকে আপনি কেবল কালো দিকগুলো সরিয়ে ফেলতে পারবেন না। ভালো, খারাপ আর কদর্যতা নিয়েই জীবন। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে যতো ভালোর সমাহার ঘটান না কেনো তাতে কালোর যোগ ঘটবেই। এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আবার এও সত্য যে, আপনার আশাবাদ না থাকলেও ভালো কিছু চলে আসবে।
৩. ব্যাথা-বেদনা অশুভ হলেও প্রয়োজনীয়
জীবনের কষ্ট তার চেহারা নিয়েই দেখা দেয়। এটি প্রেমিক/প্রেমিকার ধোঁকাবাজি থেকে শুরু করে আপনার ভুলের মাশুল হয়ে দেখা দিতে পারে। এই ব্যাথার মাত্রা এমনও হতে পারে যে মনে হবে তা হৃদয়টাকে দু'টুকরো করে দিয়েছে।
৪. মানুষ আপনাকে বিচারকের দৃষ্টিতে দেখবে
মানুষের কাজই হলো অন্যজনের দিকে দৃষ্টি রাখা এবং তার কাজের বিচার করা। আপনি ভালো কিছু করতে থাকলে তার প্রশংসা নয়, বরং তখন আগের বাজে দিকগুলো তুলে আনবে। সবাই যেনো আপনার বিচারক। যন্ত্রণার বিষয় হলো, মানুষের এসব বিচারকার্য বেশিরভাগ মিথ্যা-বানোয়াট তথ্যে পূর্ণ থাকে।
৫. সব স্বপ্ন পূরণ হয় না
এটা বিধাতার ইচ্ছে হোক বা ভাগ্যের লিখন, আপনার সব সব স্বপ্ন পূরণ হবে না। কিছু সময় সঠিক পথে না থাকার কারণে স্বপ্ন ভেস্তে যায়। আবার কিছু সময় সঠিক পথে থাকলেও অন্যের কূটচালে তা নষ্ট হয়ে যায়। আবার কিছু ঘটনায় মনে হয়, এটা ভাগ্যে ছিলো না অথবা সৃষ্টিকর্তাই চাননি। তাই কিছু স্বপ্নের মরণ মেনে নিতে হয় পরবর্তী স্বপ্নটাকে পুঁজি করার জন্য।
৬. কিছু সময় আপনার সেরাটুকুই যথেষ্ট নয়
আপনার সবটুকু উজাড় করে দেওয়া মানে কোনো কাজে সফলতার শতভাগ গ্যারান্টি নয়। কঠোর পরিশ্রম ঢেলে দিয়েই বিন্দুমাত্র আশার আলো নাও দেখতে পারেন। তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অনুভূতি হয়। জীবনে সবাই ব্যর্থ হয়। আপনিও ব্যতিক্রম নন। মূলত ওই কাজে আপনার পুরোটুকু কীভাবে যুক্ত হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে সফলতা। এখানে বিফলতার মধ্যেও শান্তি লাভের বিষয়টি হলো, আপনি চেষ্টা ত্রুটি করেননি।
৭. মাঝে মাঝে যেকোনো একটি অশুভকে বেছে নিতে হয়
জীবনের প্রতিটি কাজেই নিজস্ব মতে চলার পথ থাকে। এসব ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের সীমাবদ্ধতা থাকলেও উপায় সব সময় রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো, সব পরিস্থিতিতে কিন্তু মনের মতো পন্থা বেছে নেওয়ার উপায় থাকে না। এমনিতেই একটি পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন কাজ। তারওপর এমন প্রায়ই হয় যে, যে পথগুলো বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সবগুলো অশুভ। এর একটিকেও বেছে নিতে চায় না মন। কিন্তু উপায় নেই। তখন হয়তো সবচেয়ে কম অশুভটিই বেছে নিতে হয়। সূত্র : ইন্টারনেট - See more at:
১. জীবন আসলে নিরপেক্ষ নয়
২. সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না
জীবন থেকে আপনি কেবল কালো দিকগুলো সরিয়ে ফেলতে পারবেন না। ভালো, খারাপ আর কদর্যতা নিয়েই জীবন। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে যতো ভালোর সমাহার ঘটান না কেনো তাতে কালোর যোগ ঘটবেই। এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আবার এও সত্য যে, আপনার আশাবাদ না থাকলেও ভালো কিছু চলে আসবে।
৩. ব্যাথা-বেদনা অশুভ হলেও প্রয়োজনীয়
জীবনের কষ্ট তার চেহারা নিয়েই দেখা দেয়। এটি প্রেমিক/প্রেমিকার ধোঁকাবাজি থেকে শুরু করে আপনার ভুলের মাশুল হয়ে দেখা দিতে পারে। এই ব্যাথার মাত্রা এমনও হতে পারে যে মনে হবে তা হৃদয়টাকে দু'টুকরো করে দিয়েছে।
৪. মানুষ আপনাকে বিচারকের দৃষ্টিতে দেখবে
মানুষের কাজই হলো অন্যজনের দিকে দৃষ্টি রাখা এবং তার কাজের বিচার করা। আপনি ভালো কিছু করতে থাকলে তার প্রশংসা নয়, বরং তখন আগের বাজে দিকগুলো তুলে আনবে। সবাই যেনো আপনার বিচারক। যন্ত্রণার বিষয় হলো, মানুষের এসব বিচারকার্য বেশিরভাগ মিথ্যা-বানোয়াট তথ্যে পূর্ণ থাকে।
৫. সব স্বপ্ন পূরণ হয় না
এটা বিধাতার ইচ্ছে হোক বা ভাগ্যের লিখন, আপনার সব সব স্বপ্ন পূরণ হবে না। কিছু সময় সঠিক পথে না থাকার কারণে স্বপ্ন ভেস্তে যায়। আবার কিছু সময় সঠিক পথে থাকলেও অন্যের কূটচালে তা নষ্ট হয়ে যায়। আবার কিছু ঘটনায় মনে হয়, এটা ভাগ্যে ছিলো না অথবা সৃষ্টিকর্তাই চাননি। তাই কিছু স্বপ্নের মরণ মেনে নিতে হয় পরবর্তী স্বপ্নটাকে পুঁজি করার জন্য।
৬. কিছু সময় আপনার সেরাটুকুই যথেষ্ট নয়
আপনার সবটুকু উজাড় করে দেওয়া মানে কোনো কাজে সফলতার শতভাগ গ্যারান্টি নয়। কঠোর পরিশ্রম ঢেলে দিয়েই বিন্দুমাত্র আশার আলো নাও দেখতে পারেন। তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অনুভূতি হয়। জীবনে সবাই ব্যর্থ হয়। আপনিও ব্যতিক্রম নন। মূলত ওই কাজে আপনার পুরোটুকু কীভাবে যুক্ত হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে সফলতা। এখানে বিফলতার মধ্যেও শান্তি লাভের বিষয়টি হলো, আপনি চেষ্টা ত্রুটি করেননি।
৭. মাঝে মাঝে যেকোনো একটি অশুভকে বেছে নিতে হয়
জীবনের প্রতিটি কাজেই নিজস্ব মতে চলার পথ থাকে। এসব ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের সীমাবদ্ধতা থাকলেও উপায় সব সময় রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো, সব পরিস্থিতিতে কিন্তু মনের মতো পন্থা বেছে নেওয়ার উপায় থাকে না। এমনিতেই একটি পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন কাজ। তারওপর এমন প্রায়ই হয় যে, যে পথগুলো বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সবগুলো অশুভ। এর একটিকেও বেছে নিতে চায় না মন। কিন্তু উপায় নেই। তখন হয়তো সবচেয়ে কম অশুভটিই বেছে নিতে হয়। সূত্র : ইন্টারনেট - See more at:
Kindly Share This Post »»
|
|
|
Tweet |
0 comments :
Post a Comment